• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের একাংশ

ফাইল ফটো

বাংলাদেশ

কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন স্থগিত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ এপ্রিল ২০১৮

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পর আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা। কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাশেদ খান জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে সকাল ১০টার পর।’ এর আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। 

ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. উজ্জ্বল মিয়া বৃহস্পতিবার বলেন, বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা আসার পর রাতে বসে পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রেখে আমরা আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শুধু একটাই অনুরোধ করব, কোনো মামলা দিয়ে আমাদের সাধারণ আন্দোলনকারীদের যেন হয়রানি করা না হয়।’

কোটা বাতিলের দাবিতে রোববার থেকে বড় আকারে আন্দোলন শুরু হয়। বুধবার শাহবাগ এবং ঢাকার অন্যত্র সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিলের আন্দোলনে যোগ দেন। তারা দেশের নানা জায়গায় সড়ক অবরোধ করেন। ঢাকায় আন্দোলনকারীরা কোটা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দাবি করেন। দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারা দেখা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের কোটা বাতিলের কথা বলেছেন। কিন্তু এই কথায় রাজপথ ছাড়েনি বিক্ষোভকারীরা।

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ইউনিভার্সিটিগুলোতে ক্লাস বন্ধ। পড়াশোনা বন্ধ। এরপর আবার ভিসির বাড়ি আক্রমণ। রাস্তাঘাটে যানজট। মানুষের কষ্ট। সাধারণ মানুষের কষ্ট। সাধারণ মানুষ বারবার কষ্ট পাবে কেন? এই বারবার কষ্ট বন্ধ করার জন্য, আর বারবার এই আন্দোলনের ঝামেলা মেটাবার জন্য কোটাপদ্ধতি বাতিল। পরিষ্কার কথা। আমি এটাই মনে করি, সেটা হলো বাতিল।’ 

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধীসহ অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটাপদ্ধতিরই দরকার নেই। যারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী, তাদের অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারব। এই আন্দোলন যারা করেছে, যথেষ্ট হয়েছে, এখন তারা ক্লাসে ফিরে যাক।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads