• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ

লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি লজ্জার : কাদের

নিজের গাড়িতে তিন রোগীকে পৌঁছে দিলেন হাসপাতালে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ এপ্রিল ২০১৮

রাজধানীতে গাড়ির সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে বলে উল্লেখ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এত সংখ্যক গাড়ি চলার মতো রাস্তা নেই ঢাকা শহরে। লক্কড়ঝক্কড় গাড়ির কারণে বিদেশিদের কাছে লজ্জা পেতে হয়। আবার বাস্তবতা হচ্ছে চাইলেই এসব গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনের সময় এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের মন্ত্রী বলেন, গণপরিবহনে নৈরাজ্য, হয়রানি ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনার খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। যা গোটা পরিবহন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। চালক-মালিকরা অন্যায় করার পর সরকার ব্যবস্থা নিলে তারা রাস্তায় গাড়ি নামান না। তখন জনদুর্ভোগের পুরো দায়ভার মন্ত্রণালয়ের ঘাড়ে চাপে। তাই বাস্তবতার নিরিখে চাইলেই ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে মালিক-শ্রমিক নেতাদের প্রতি গাড়ির চালকদের কাউন্সেলিং করার অনুরোধ করেন তিনি।

বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনের খোয়াব বাতাসে উবে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের দিয়ে আর আন্দোলন হবে না। বাংলাদেশের মানুষ এখন পুরোপুরি নির্বাচনের মুডে। দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হচ্ছে। এরপর আরো পাঁচ সিটির নির্বাচন।

রোববার রংপুরে জাপার সম্মেলনে সরকারের সমালোচনা করে আগামী নির্বাচনে দলের আসন বাড়ানোর কথা বলেন এরশাদ। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, কে কত আসন পাবে সেটি বৈঠকে আলোচনা হবে। যেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেসব এলাকায় অবশ্যই মনোনয়ন পাবেন। আওয়ামী লীগসহ জোটের সবার ক্ষেত্রে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী ছাড়া কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। নির্বাচনে জাপার সঙ্গে জোট থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনের সময় মন্ত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাস, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল থামিয়ে চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় বিকাশ পরিবহনের একটি বাসের যাত্রীরা তার কাছে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেন। তখন বাসটি আটকের জন্য বিআরটিএ’র লোকজনকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। কিন্তু বাসটিতে যাত্রী থাকায় সেটি পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযানের ব্যাপারে বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-২ মাজহারুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ৪০টি গাড়িকে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।

এদিকে অভিযান চলাকালে সহায়তা চাইতে আসা তিন রোগীকে নিজ গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যান ওবায়দুল কাদের। এর মধ্যে ছিলেন নওগাঁর মান্দা উপজেলা থেকে আসা বিলকিস বেগম ও তার মেয়ে বীথি। কয়েক বছর আগে অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার হয়ে দু’জনের মুখের আকৃতি পাল্টে যায়। মেয়ের ডান হাত এমনভাবে ঝলসে গেছে যে পরে তার হাতের কব্জিই কেটে ফেলতে হয়েছে। আরেকজন মিজান। সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাত পাওয়ার পর হাঁটুর নিচে প্রায় পচন ধরেছে। এরা সবাই হতদরিদ্র। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে কাছে পেয়ে সাহায্য চান এরা তিনজন। সব শুনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে নিজের গাড়িতে করে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান তিনি। জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতি মানেই তো জনগণের সেবা করা। এই সামান্য কাজের কথা উল্লেখ করে কী লাভ? এদের সুচিকিৎসার জন্য সাধ্যানুযায়ী তিনি পাশে থাকবেন বলে জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads