• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
বদিদের ধরছেন না কেন

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

সংরক্ষিত ছবি

বাংলাদেশ

রিজভীর প্রশ্ন 

বদিদের ধরছেন না কেন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ মে ২০১৮

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারদলীয় এমপি বদির মতো রাঘব বোয়ালরা মাদকের সঙ্গে জড়িত অভিযোগ করে তাদের না ধরায় প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এরা মাদক ব্যবসার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। মাদকের আসল গডফাদারদের ধরছেন না কেন? 

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করেন রুহুল কবির রিজভী। এ সময় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশ মাদকে ছেয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার হায়দার আলী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবির মুরাদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার জনমনে আতঙ্ক তৈরি করতে চাইছে। মানুষকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার নতুন প্রকল্প হলো এই বন্দুকযুদ্ধ। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড মানবাধিকারের পরিপন্থি ও আইনের লঙ্ঘন। এই অনাচারে সরকারি প্রশাসনের মানবতার অধঃপতন আরো নিচের দিকে নামছে।

‘বিএনপি মাদকবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে নয়’- এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বেআইনি মৃত্যুদণ্ড অপরাধ দমনের মানদণ্ড হতে পারে না। দেশের প্রচলিত আইনেই মাদক প্রতিরোধ সম্ভব। অপরাধীদের গ্রেফতার করুন, আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করুন, আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন। কিন্তু তা না করে সারা দেশে বন্দুকের অপব্যবহারে মানুষ হত্যা কোনো সভ্য সমাজের কাম্য হতে পারে না।

তিনি বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত সাড়ে ৯ বছরে মাদকে ছেয়ে গেছে দেশ। যুবসমাজকে ধ্বংস করতে পরিকল্পিতভাবে মাদকের বিস্তার ঘটানো হয়েছে। গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে এই রাঘব বোয়ালদের নাম প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তাও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নানা চ্যানেলে মাদক এসে ঢুকছে বাংলাদেশে। এই চ্যানেলগুলোর উৎসমুখ বন্ধ করতে পারেনি কেন সরকার? মাদকের আসল গডফাদারদের ধরছেন না কেন?

তিনি বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল সাহেব বাজার সিটি করপোরেশনের মার্কেটে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি ব্যানার ঝুলিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ সরকারি দলের নেতাদের নির্দেশে বর্তমান মেয়রের শুভেচ্ছা ব্যানারটি খুলে ফেলে। রাজশাহীর মেয়র পুলিশকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে পুলিশ বরং আওয়ামী ক্যাডারের মতোই আচরণ করে এবং বেআইনিভাবে বর্তমান মেয়রের ব্যানারটি খুলে ফেলার পক্ষে অবস্থান নেয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads