টেবিলে সাজানো পসরা দেখে মনে হবে অন্য দশটা ফুটপাথের ইফতারসামগ্রীর দোকানের মতো। রাজধানীর পান্থপথের ইফতারসামগ্রী সাজানো এই টেবিল-দোকানের দেখা মিলছিল রোজার প্রথম দিন থেকে। ইফতারের আগে-পরে ওই পথ দিয়ে যাওয়া পথচারীদের কাছে ফুটপাথের ওই পসরা সাজানো টেবিল-দোকান দেখে সেরকমই মনে হচ্ছিল।
কিন্তু না, ওই আয়োজন ছিল ব্যতিক্রমী। আয়োজক এসইএল চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের কার্যালয়ের সামনের ফুটপাথে প্রতিদিন বিনামূল্যে পথচারীদের ইফতার করাচ্ছে। ‘পথচারীদের জন্য ইফতার সেবা’ ব্যানার নিয়ে প্রতিদিন উপস্থিত শ্রমজীবী ও পথচারী রোজাদারদের বিনামূল্যে দিচ্ছে ইফতারসামগ্রী।
মাগরিবের আজান হতেই রোজাদার পথচারীরা ভিড় করে বিনামূল্যের এই ইফতারসামগ্রী নিতে। প্রতিষ্ঠানটি এ সেবায় নিয়োজিত করেছে বেশ ক’জন তরুণ-তরুণীকে। অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এই তরুণ-তরুণীরা রোজাদার পথচারীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন ইফতারসামগ্রী। পানি, খেজুর, পেঁয়াজু, বেগুনি, চপ, মুড়ি, জিলাপিসহ বেশ কয়েকটি আইটেম রয়েছে এতে। পথচারীরাও বেশ খুশি ইফতারের এই আয়োজনে। সাধুবাদ জানাচ্ছেন আয়োজকদের।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসইএল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, রোজা রেখে পান্থপথ দিয়ে যাতায়াতকারী রোজাদার যে কেউ যানজটে পড়ে বা চলার পথে ইফতারের সময় হয়ে গেলে হাতের কাছে ইফতারের ব্যবস্থা থাকে না। এতে করে পরিবহনে অবস্থানকারী অথবা পথচারী রোজাদারের ইফতারের মাধ্যমে রোজা ভাঙা বেশ কষ্টের। এমন পথচারী রোজাদারদের সেবা প্রদানের কথা চিন্তা করেই আমাদের এই আয়োজন। আমাদের কাছ থেকে একজন রোজাদার পথচারী তার প্রয়োজনীয় ইফতারসামগ্রী গ্রহণ করতে পারেন।
ইবনুল রানা আরো বলেন, রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত এই সেবা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিদিন ২-৩ শ রোজাদারের ইফতারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অন্য কোথাও এ ধরনের ব্যবস্থা আছে কি না জানি না। আমরা শুরু করলাম। আমাদের নিজস্ব বাবুর্চি দিয়ে রান্না করা সবজি খিচুড়ি, আলুর চপ, খেজুর, মুড়ি, ছোলা, জিলাপি ইফতারির মেন্যুতে দেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি জানান, দি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্সের অনুদানে এসইএল চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের এই আয়োজন পরিচালিত হচ্ছে।
