• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

পা হারানো স্বস্তি আইসিইউতে

সংগৃহতি ছবি

বাংলাদেশ

পা হারানো স্বস্তি আইসিইউতে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ মে ২০১৮

রাজধানী উত্তরার আবদুল্লাহপুরে বিআরটিসি বাসের চাপায় বাম পা হারানো আতিকুন নেছা স্বস্তিকে (৫০) শ্যামলীর ট্রমা হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে আবদুল্লাহপুর মোড়ে বিআরটিসির একটি বাস থেকে নামার সময় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল এবং পরে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাত ১০টায় তাকে শ্যামলীর ট্রমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহত স্বস্তি ময়মনসিংহে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করেন। তিনি উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ৩৩ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাসায় থাকেন। তার স্বামীর নাম রফিকুল ইসলাম। তিন মেয়ে ও এক ছেলের জননী তিনি।

স্বস্তির মেয়ের জামাই তারেক হোসেন প্লাবন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, তার শ্বশুর ও শাশুড়ি একসঙ্গে টঙ্গী থেকে উত্তরার বাসায় বিআরটিসির বাসে করে ফিরছিলেন। আবদুল্লাহপুর মোড়ে নামার সময় এক পা ফেলার পর অন্য পা ফেলার আগেই বাস টান দেয়। এতে তিনি বাস থেকে রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় বাসটি তার বাম পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায় এবং বাম পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত থেঁতলে যায়।

তিনি বলেন, পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আধুনিক হাসপাতাল এবং পরে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শ্যামলীর ট্রমা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখানে রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করে তার পা কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা। এরপর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।

প্লাবন বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা করার সময় পাইনি। তবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঘটনার সময় চালক ও হেলপারকে সাধারণ জনগণ গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে বলে জানান তিনি।

উত্তরা পূর্ব থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৪৬৪৩) আটক বাসটি থানায় রয়েছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি। সম্ভবত তার স্বজনরা রোগী নিয়ে ব্যস্ত আছেন। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ঘটনায় চালক এবং হেলপার কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান তিনি। চালক ও হেলপারকে সাধারণ জনগণ গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে বলে প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, এমন খবর পাইনি। তবে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।

এদিকে গত ২০ এপ্রিল রাতে বনানীতে দ্রুতগামী বিআরটিসি বাসের চাপায় পা বিচ্ছিন্ন হয় গৃহকর্মী রোজিনার। আহত হওয়ার আট দিন পর চিকিৎসাধীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোজিনার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads