• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
সাজা বাড়িয়ে বিএসটিআই আইনের খসড়া অনুমোদন

লোগো বিএসটি্আই

সংরক্ষিত ছবি

বাংলাদেশ

সাজা বাড়িয়ে বিএসটিআই আইনের খসড়া অনুমোদন

অনুমোদন পেয়েছে ‘জাতীয় পাটনীতি-২০১৮’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ মে ২০১৮

বিভিন্ন ধারায় অপরাধের সাজার মেয়াদ আগের থেকে বাড়িয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট আইন-২০১৮-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী নিবন্ধন ব্যতিরেকে কোনো জিনিস ব্যবহার করলে তা বাজেয়াপ্ত করার সুযোগ রাখা হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভাশেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, বর্তমানে বিএসটিআই চলছে ১৯৮৫ সালের করা অধ্যাদেশে। পুরনো সেই আইন সংশোধন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়ায় বিভিন্ন ধারায় শাস্তি বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া তেমন কোনো পরিবর্তন নেই।

তিনি জানান, খসড়া আইন অনুযায়ী এখন থেকে লাইসেন্স ব্যতিরেকে বিএসটিআইয়ের স্ট্যান্ডার্ড মান ব্যবহার করলে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে। আবার অর্থদণ্ড ২৫ হাজার টাকার নিচে হবে না। যদিও বর্তমানে এই অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব ছয় মাস ও অনধিক ১৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

জানা গেছে, প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী নিবন্ধন ব্যতিরেকে কোনো জিনিস বাজারজাত করা হলে তা বাজেয়াপ্ত করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া রফতানি-নিষিদ্ধ পণ্য রফতানি সংক্রান্ত লাইসেন্সের শর্ত লঙ্ঘন করলে আগে শাস্তি ছিল অর্থদণ্ডসহ এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড। খসড়া আইনে তা করা হয়েছে এক বছরের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। তবে এ জরিমানা ১০ হাজার টাকার কম হবে না। এ ছাড়া কতিপয় পণ্য বিক্রি, বিতরণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন লঙ্ঘন করলে চার বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হবে, তবে এ অর্থদণ্ড ৫০ হাজার টাকার নিচে হবে না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অন্যান্য নামে আরেকটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে আইনে। এই ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি এই আইন বা তার আলোকে প্রণীত বিধি বা প্রবিধান লঙ্ঘন করে তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে আইনের কোনো ধারায় যদি না ফেলা যায় তাহলে অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে, তবে তা ২৫ হাজার টাকার নিচে নয়। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী কেউ যদি একই অপরাধ পুনরায় করেন তাহলে সাজা হবে দ্বিগুণ।

এ ছাড়া আজকের বৈঠকে জাতীয় পাটনীতি-২০১৮-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগের আইনটি ধরেই নতুন আইনে কিছু সংযোজন করা হয়েছে। পাঁচটি বিষয়কে কৌশলগত অগ্রাধিকার দিয়ে ‘জাতীয় পাটনীতি-২০১৮’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১১ সালে পাটনীতি করা হয়, সেটাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে। আগের পাটনীতি থেকে বেশি পার্থক্য নেই। কিছু নতুন সংযোজন আছে। আগে সংজ্ঞা দেওয়া ছিল না, নতুন করে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নতুন পাটনীতিতে মানসম্মত পাট উৎপাদন, পাটের নায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ, পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন এবং পাটের বাজার সম্প্রসারণকে কৌশলগত অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads