• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ঈদ বোনাস শ্রমিকের অধিকার

বোনাসের দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সামাবেশ করে গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাংলাদেশ

ঈদ বোনাস শ্রমিকের অধিকার

বিক্ষোভ সমাবেশে শ্রমিক নেতারা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ জুন ২০১৮

ঈদ উৎসবের বোনাস কারো দয়া নয়; এটা শ্রমিকের অধিকার। দুই ঈদে বেসিকের সমপরিমাণ বোনাস দেওয়ার রেওয়াজ থাকলেও সরকার শ্রম আইনে বোনাসের বিষয়টি উল্লেখ না করে শ্রমিকদের বঞ্চিত করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গতকাল শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন শ্রমিক নেতারা। অবিলম্বে বেসিক বেতনের সমান ঈদ বোনাস ও বকেয়া বেতন পরিশোধ, ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং জুলাই মাসের মধ্যে মজুরি বোর্ডের সুপারিশ ঘোষণার দাবিতে এ বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করে গার্মেন্ট শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (জি-স্কপ)।

সমাবেশে গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাইমুল আহসান জুয়েল বলেন, প্রতিবছর রোজার শুরুতে শ্রম মন্ত্রণালয় মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সব শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধের আশ্বাস দেয়। কিন্তু মালিকরা ঈদের ছুটির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে তাদের জিম্মি করে।

জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ঈদে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা না দেওয়া প্রতারণা। মালিকপক্ষ বরাবর প্রতারণা করে এলেও সরকারকে কখনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

গার্মেন্ট শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল বলেন, শ্রমিকরা ঈদে বেতন-বোনাস না পাওয়ার শঙ্কায় থাকে। কখনো মালিকপক্ষ বোনাসের বদলে বকশিশ দেয়। পূর্ণ বেতন-বোনাস না পেয়ে অল্প ভাড়ার ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরতে গিয়ে দুর্ঘটনায় অনেকে মারাও যান।

বিক্ষোভ সমাবেশে বলা হয়, গত ১৪ জানুয়ারি গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠনের ঘোষণা করা হলেও এর বৈঠক বসে দুই মাস পর ১৯ মার্চ। এরপর গত ২৫ এপ্রিল মজুরি বোর্ডের বৈঠক স্থগিত করা হয়। যদিও শ্রম আইনের ১৩৯(২) ধারা অনুসারে মজুরি বোর্ড গঠনের ছয় মাসের মধ্যে নতুন মজুরির সুপারিশ করবে। সে হিসেবে আগামী জুলাই মাসেই নতুন মজুরি ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা বলছেন, তাদের সময় নাকি ডিসেম্বর পর্যন্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads