• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
যৌন নির্যাতন রোধে সমন্বিত আইন অপরিহার্য

যৌন হয়রানি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ

যৌন নির্যাতন রোধে সমন্বিত আইন অপরিহার্য

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ জুন ২০১৮

যৌন হয়রানি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যায় রূপ নিয়েছে। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ন অপরিহার্য। এ সমস্যা মোকাবেলায় একটি সমন্বিত আইন হওয়া দরকার। রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনের আজিমুর রহমান সম্মেলন কক্ষে গতকাল শনিবার ‘সকল ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষার জন্য খসড়া আইন, ২০১৮’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন আলোচকরা।

জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের যৌথ উদ্যোগে এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের গার্লস অ্যাডভোকেসি অ্যালায়েন্সের সহায়তায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০১৮’ শীর্ষক প্রস্তাবিত খসড়া আইন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পরিচালক তৌহিদা খন্দকার। খসড়ার ওপর আলোচনায় অংশ নেন অধস্তন আদালতের বিচারক, সরকারি কৌঁসুলি, আইনজীবী এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।

সভা সঞ্চালনা করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, একটি সমাজ কতটা সভ্য তা নির্ভর করে সে দেশের অপেক্ষাকৃত দুর্বল জনগোষ্ঠী কতটা ভালো আছে তার ওপর। সমাজে নারীরা এখনো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং তারা বিভিন্ন অবহেলা ও নির্যাতনের শিকার। নারীর ওপর সবচেয়ে বড় নির্যাতন হলো যৌন নির্যাতন। আমরা মনে করি, নির্যাতন রোধে একটি সমন্বিত আইন হওয়া দরকার।

উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, ঘরে-বাইরে, পথে-ঘাটে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং কর্মক্ষেত্রে সর্বত্রই যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারীরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অসচেতনতা এবং আদালতের নির্দেশনা না জানা অথবা জানলেও তা না মানার কারণে কমছে না যৌন হয়রানি। বর্তমানে যৌন হয়রানি একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। সমস্যাটিতে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নতুন মাত্রা।

সভায় বলা হয়, বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রতি দশজন নারীর মধ্যে নয়জনই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে যৌন হয়রানির শিকার হন। হাইকোর্টের নির্দেশনার দীর্ঘ নয় বছর পরেও কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সব ক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

সভা শেষে একটি সমন্বিত যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরির জন্য চার সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads