• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছে ছাত্রলীগ 

বঙ্গবন্ধুর নামের বানান বুলের প্রতিবাদে সোমবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগ

ছবি : বাংলাদেশর খবর

বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর নামের বানান ভুল

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছে ছাত্রলীগ 

# প্রকৌশলী-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত # ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

  • রফিকুল ইসলাম রফিক, রংপুর
  • প্রকাশিত ১০ জুলাই ২০১৮

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগ থেকে সম্প্রতি বিভন্ন দফতরে পাঠানো এক পত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের বানানে ‘বঙ্গবন্দু’ বলে সম্বোধন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ হোসেন পাটোয়ারীকে অভিযুক্ত করে তার বরখাস্তের দাবি তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এ দাবিতে ছাত্রলীগ গতকাল সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনার জন্য দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিলে দুপুর ২টায় তারা তালা খুলে দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ডায়েরিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং একটি প্রেস রিলিজে বঙ্গবন্ধুর নামের বানান ভুল করে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তড়িঘড়ি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরীফ হোসাইন পাটোয়ারী এবং কম্পিউটার অপারেটর রাকিবুল ইসলাম শ্যামলকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. একেএম ফরিদ-উল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে সহকারী প্রক্টর ছদরুল ইসলাম সরকারকে। সহকারী প্রক্টর আতিউর রহমানকে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে। তাদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

এ ছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শরীফ হোসাইন পাটোয়ারী ও কম্পিউটার অপারেটর রাকিবুল ইসলাম শ্যামলকে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কারণ দর্শানোতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন অভিযুক্ত ওই দুই কর্মকর্তা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শহীদ মুখতার ইলাহী হল বরাবর প্রকৌশল দফতর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. শরীফ হোসাইন পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। সেই চিঠিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জায়গায় ‘বঙ্গবন্দু শেখে’ এবং শহীদ মুখতার ইলাহীর জায়গায় ‘মোখতার ও মূখতার’ ইলাহী লেখা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের বানান চার জায়গায় এবং শহীদ মুখতার ইলাহীর নামের বানান দুই জায়গায় ভুল থাকায় গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকৌশল দফতরের উপ-প্রকৌশলীর অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

এর আগে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবন থেকে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বের করে ভবনের দুই প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর দায়ী প্রকৌশলীকে বরখাস্তের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ।

এদিকে, ছাত্রলীগের আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন ভর্তি ও ফর্ম পূরণ করতে আসা বিভিন্ন বিভাগের চার শতাধিক শিক্ষার্থী। তাদের অনেকেরই ভর্তি ও ফর্ম পূরণের শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বাংলাদেশের খবরকে বলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর চেতনা নিয়ে কথা বলেন, অথচ তাঁর নামের বানান একের পর এক ভুল করে যাচ্ছেন। এটা হতে দেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখ বলেন, অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়ায় প্রশাসনিক ভবনের গেটের তালা আমরাই খুলে দিই।

বেরোবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান বাংলাদেশের খবরকে বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে আশা তার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রকৌশলী মো. শরীফ হোসাইন পাটোয়ারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগ থেকে সম্প্রতি বিভন্ন দফতরে পাঠানো এক পত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের বানানে ‘বঙ্গবন্দু’ বলে সম্বোধন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ হোসেন পাটোয়ারীকে অভিযুক্ত করে তার বরখাস্তের দাবি তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এ দাবিতে ছাত্রলীগ গতকাল সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনার জন্য দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিলে দুপুর ২টায় তারা তালা খুলে দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ডায়েরিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং একটি প্রেস রিলিজে বঙ্গবন্ধুর নামের বানান ভুল করে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তড়িঘড়ি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরীফ হোসাইন পাটোয়ারী এবং কম্পিউটার অপারেটর রাকিবুল ইসলাম শ্যামলকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. একেএম ফরিদ-উল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে সহকারী প্রক্টর ছদরুল ইসলাম সরকারকে। সহকারী প্রক্টর আতিউর রহমানকে কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে। তাদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

এ ছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শরীফ হোসাইন পাটোয়ারী ও কম্পিউটার অপারেটর রাকিবুল ইসলাম শ্যামলকে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কারণ দর্শানোতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন অভিযুক্ত ওই দুই কর্মকর্তা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শহীদ মুখতার ইলাহী হল বরাবর প্রকৌশল দফতর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. শরীফ হোসাইন পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। সেই চিঠিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জায়গায় ‘বঙ্গবন্দু শেখে’ এবং শহীদ মুখতার ইলাহীর জায়গায় ‘মোখতার ও মূখতার’ ইলাহী লেখা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের বানান চার জায়গায় এবং শহীদ মুখতার ইলাহীর নামের বানান দুই জায়গায় ভুল থাকায় গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকৌশল দফতরের উপ-প্রকৌশলীর অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

এর আগে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবন থেকে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বের করে ভবনের দুই প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। এরপর দায়ী প্রকৌশলীকে বরখাস্তের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ।

এদিকে, ছাত্রলীগের আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন ভর্তি ও ফর্ম পূরণ করতে আসা বিভিন্ন বিভাগের চার শতাধিক শিক্ষার্থী। তাদের অনেকেরই ভর্তি ও ফর্ম পূরণের শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া বাংলাদেশের খবরকে বলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর চেতনা নিয়ে কথা বলেন, অথচ তাঁর নামের বানান একের পর এক ভুল করে যাচ্ছেন। এটা হতে দেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখ বলেন, অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়ায় প্রশাসনিক ভবনের গেটের তালা আমরাই খুলে দিই।

বেরোবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান বাংলাদেশের খবরকে বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে আশা তার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রকৌশলী মো. শরীফ হোসাইন পাটোয়ারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads