• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
উল্টোরথে শেষ হলো রথযাত্রা উৎসব

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে উল্টো রথযাত্রা শুরু হয়। ছবিটি দোয়েল চত্বরের সামনে থেকে তোলা

ছবি : বাংলাদের খবর

বাংলাদেশ

উল্টোরথে শেষ হলো রথযাত্রা উৎসব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০১৮

উল্টোরথ টানার মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। হাজার হাজার সনাতন ধর্ম‍াবলম্বী এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। গতকাল রোববার বিকালে রাজধানীর শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উল্টো রথযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। উল্লেখ্য, প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে এ রথযাত্রা শুরু হয়ে একাদশী তিথিতে শেষ হয়। এ বছর গত ১৪ জুলাই রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়।

উল্টোরথের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হানিফ বলেন, রাজনীতিকে সংঘাত করে সমাজকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আসুন, আমরা শুভশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। আমরা প্রার্থনা করি যেন সমস্ত অশুভশক্তিকে নস্যাৎ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সবকিছুতে এগিয়ে নেব, ঠিক তেমনিভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখব- এটাই হোক আমাদের প্রত্যয়।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস জগন্নাথ দেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছে জগতের ইশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এ বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমা রেখে রথযাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর নিখিল ভট্টাচার্য্য বলেন, উল্টোরথে জগন্নাথ দেবকে গুণ্ডিচা মন্দির থেকে লীলাচলে জগন্নাথদেবের মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। এর আগে রথযাত্রার শুরুর দিন লীলাচল থেকে জগন্নাথদেবকে গুণ্ডিচা মন্দিরে নেওয়া হয়। কথিত আছে, সত্যযুগে ইন্দ্রদম্ন্যু রাজার স্ত্রী গুণ্ডিচাকে শ্রীকৃষ্ণ সন্তান হিসেবে প্রতিবছর সাত দিন তার কাছে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি রাখার জন্যই রথের শুরুর দিন গুণ্ডিচা মন্দির থেকে লীলাচলে জগন্নাথদেবের মন্দিরে নিয়ে আসা হয়।

উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এবং মন্দির নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সকালে বিভিন্ন মাঙ্গলিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানমালা। এর মধ্যে ছিল হরিনাম সঙ্কীর্তন, বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, পদাবলী কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভাগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ। ইসকনসহ রাজধানীর রাম-সীতা মন্দির এবং তাঁতীবাজার জগন্নাথ মন্দিরে এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এই উল্টো রথযাত্রা আয়োজন করে ঢাকার আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)। রোববার তিনটি সুবিশাল রথ (উল্টো রথযাত্রা) ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বের হয়ে পলাশী মোড়, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট, প্রেস ক্লাব, পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, শাপলা চত্বর, ইত্তেফাক মোড় ও জয়কালী মন্দির হয়ে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads