• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ শুরু আজ

বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘মায়ের দুধ পান: সুস্থ্য জীবনের বুনিয়াদ’

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ

বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ শুরু আজ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০১ আগস্ট ২০১৮

মাতৃদুগ্ধ পানের সুবিধার বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’-২০১৮’ উদযাপিত হতে হবে।

বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘মায়ের দুধ পান : সুস্থ্য জীবনের বুনিয়াদ’। মাতৃদুগ্ধপান শিশুদের পুষ্টিপূরণ এবং সম্মিলিত শারীরিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

সপ্তাহটি পালন উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার এক প্রেসব্রিফিংয়ে বলেন, দেশ মাতৃদুগ্ধ পানের প্রত্যাশিত হার অর্জন করেছে।

সপ্তাহটি উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, শিশুর পুষ্টি এবং শারীরিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান মায়ের দুধে বিদ্যমান। বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্ণ ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ শিশুর পরিপূর্ণ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করে। জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ দিলে ৩১ শতাংশ নবজাতকের মৃত্যু রোধ, ১৩ শতাংশ শিশুমৃত্যু এবং ৬ মাস বয়সের পর মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি বাড়তি খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে ৬ শতাংশ শিশুমৃত্যু কমানো সম্ভব। সমাজ ও রাষ্ট্রের টেকসই উন্নয়ন ও সুস্থ সবল জাতি গঠনে মায়ের দুধের উপকারিতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার পাশাপাশি সন্তানকে স্তন্যদানে মায়েদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন বলে রাষ্ট্রপতি মনে করেন।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, বিকল্প শিশুখাদ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে কর্মজীবী মায়েদের সন্তানকে স্তন্যদানে উৎসাহিত করার পাশাপাশি কর্মস্থল ও গণপরিবহণে মায়েদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। তিনি কর্মজীবী মায়েদের মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা বিধানে সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, তার সরকার মাতৃত্বকালীন ছুটি বেতনসহ ৬ মাসে উন্নীত করেছে। সরকারি ও বেসরকারি অফিসে ব্রেস্টফিডিং কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল থেকে কর্মজীবী মায়েদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং ট্রেন্ডস ইনিশিয়েটিভ (ডব্লিউবিটিআই) ২০১৫ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ ১৫২টি দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান এবং ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (আইবিএফএএন) ২০১৮ এর রিপোর্ট ‘স্টেট অব দি কোড বাই কান্ট্রি’ অনুযায়ী আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী দৃড় আশা ব্যক্ত করেন যে, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা মাতৃ ও শিশু পুষ্টি বিষয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব।’ তিনি দেশের সর্বস্তরের শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর অগ্রগতির ধারাকে জোরদার করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পুষ্টিসেবা ও বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনসহ সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।

সপ্তাহটি উদযাপন উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর, কমিউনিটি ক্লিনিক, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সংবাদপত্র, রেডিও ও টেলিভিশনসমূহ সপ্তাহটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ ও অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads