• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
আন্দোলনের হুশিয়ারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

গ্রেফতার ২২ শিক্ষার্থীকে ঈদের আগে মুক্তি দেওয়া না হলে জোরালো আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা

ছবি -বাংলাদেশের খবর

বাংলাদেশ

গ্রেফতার ২২ ছাত্রের মুক্তি দাবি

আন্দোলনের হুশিয়ারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ আগস্ট ২০১৮

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেফতার ২২ শিক্ষার্থীকে ঈদের আগে মুক্তি দেওয়া না হলে জোরালো আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার বিকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে এ হুশিয়ারি দেন তারা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধাক্কায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সেই আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শামিল হন। শিক্ষার্থীদের এই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন বাহিনী হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন সংহতি সমাবেশের বক্তারা। তারা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ আগস্ট ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সম্মিলিতভাবে হামলা চালানো হয়। শিক্ষার্থীদের প্রায় জিম্মি করে দিনভর দফায় দফায় তাদের ওপর হামলা করা হয়। এ হামলায় অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত হন, গ্রেফতার করা হয় কয়েক শ শিক্ষার্থীকে এবং থানায় নিয়ে নির্যাতন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকাগুলোতে এখনো ত্রাসের রাজত্ব বিরাজ করছে, অজ্ঞাতনামা বলে মামলা করা হয়েছে অসংখ্য শিক্ষার্থীর ওপর। অবশেষে ২২ জন শিক্ষার্থীকে রিমান্ডের পর জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সরকারের ন্যক্কারজনক ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ও গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বক্তারা বলেন, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রের নিঃশর্ত মুক্তির পাশাপাশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া সবার মুক্তির দাবি জানান। গ্রেফতারদের মুক্তি না দিলে ঈদের পর শিক্ষার্থীরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এছাড়া শিক্ষার্থীরা সমাবেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিবহন সুবিধা এবং সব ধরনের পরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ-পাসের দাবি জানান।

সংহতি সমাবেশে বক্তব্য দেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাফিল উদ্দিন, অভিমিতা স্বর্ণা ও মশিউর সজীব, ইউল্যাবের শিক্ষার্থী কেএসআর সাইদ। এছাড়া সমাবেশে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস পপি ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংগঠক গোলাম রাব্বানী প্লাবন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads