• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ঘাতকদের ফাঁসি দেখে যেতে চান মা

জাকিয়া সুলতানা

সংরক্ষিত ছবি

বাংলাদেশ

ঘাতকদের ফাঁসি দেখে যেতে চান মা

  • সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ আগস্ট ২০১৮

বহুল আলোচিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার জাকিয়া সুলতানা ওরফে রূপা হত্যার এক বছর পার হলো গতকাল শনিবার। এ মামলার রায়ে নিম্ন আদালত চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। দণ্ডিতরা উচ্চ আদালতে আপিল করার পর ছয় মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত আপিল শুনানি শুরু হয়নি। নিম্ন আদালত থেকে রূপার পরিবারকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত বাসটি দেওয়ার আদেশ দিলেও আইনি জটিলতার কারণে সেটি এখনো পায়নি তারা।

গত বছর ২৫ আগস্ট বগুড়ায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে কর্মস্থল ময়মনসিংহ ফেরার পথে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন রূপা। ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকার বনাঞ্চলে রাস্তার পাশে তার লাশ ফেলে দেয়। লাশ উদ্ধারের পর ২৭ আগস্ট ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিরাপদ পরিবহনের ছোঁয়া নামের বাসের চালক হাবিবুর রহমান, তার সহকারী শামীম হোসেন, আকরাম হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সুপারভাইজার সফর আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিঞা চার আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। অপর আসামিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে ছোঁয়া পরিবহনের সেই বাসটি ক্ষতিপূরণ হিসেবে রূপার পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করে।

এসব বিষয়ে কথা হয় রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, রায় কার্যকর নিয়ে সংশয় আর হতাশা বাড়ছে। মামলাটি দীর্ঘসূত্রতায় পড়েছে। আইনি জটিলতায় ছোঁয়া পরিবহনের বাসটিও আটকে আছে। পরিত্যক্ত অবস্থায় থানায় পড়ে থাকা বাসটির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে।

রূপার ছোট বোন পপিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বগুড়াস্থ এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানিতে চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। পপি জানিয়েছেন, বেতনে নিজের খাওয়া-পরা ও বাসা ভাড়া দেওয়ার পর তেমন কিছুই থাকে না। বৃদ্ধ মা এখন অসুস্থ। চিকিৎসার অভাবে দিন দিন খারাপ হচ্ছে তার অবস্থা।

কথা হয় রূপার মা হাসনা হেনা বানুর সঙ্গে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ভেবেছিলাম নিজের জীবদ্দশায় হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখে যেতে পারব। জানি না ভাগ্যে জুটবে কি না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads