রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর ২২তম জাতীয় সম্মেলন ১৫-১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় বিশ্বমানের টেকনিকাল ভোকেশনাল এডুকেশন ট্রেনিং (টিভিইটি) প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হওয়া এই সম্মেলন শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।
আজ বুধবার রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানান হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন আইডিইবির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ।
আইডিইবির সভাপতি একেএমএ হামিদ বলেন, যেভাবে প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে তা থেকে নিজেদের গুটিয়ে রাখার সুযোগ নেই। প্রযুক্তি ব্যবহার করেই নিজেদের উন্নয়ন করতে হবে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে প্রযুক্তির মাধ্যমেই চতুর্থ শিল্প বিল্পব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা যদি সংস্কার এবং প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার না করা হয় তাহলে আমরা পিছিয়ে পড়বো।
বিভিন্ন দেশের কারিগরি শিক্ষার হার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কারিগরি শিক্ষা অন্তত ৫০ শতাংশ না হলে আমরা উন্নত হতে পারবো না। যেসব দেশ উন্নত তাদের কারিগরি শিক্ষার হার ন্যূনতমতম ৫০ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, কোয়ালিটি এডুকেশন সিস্টেমের জন্য উন্নত দেশে একটি মানদণ্ড আছে। আমরা লিখিত প্রস্তাব (বই) আকারে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবো। এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে করণীয় সস্পর্কে সম্মেলনে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, যারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তারা অনেক জিনিস আবিষ্কার করছে। তা সবার সামনে তুলে ধরতে ইনোভেমন এক্সপো-১৮এর আয়োজন করেছি আমরা। ১৬ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তা উদ্বোধন করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আইডিইবির সহ-সভাপতি একেএম আব্দুল মোতালেব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান খান ও আব্দুন নুমান, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ইদরীস আলী, জনসংযোগ ও প্রচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম. অর্থ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ও লাইব্রেরি সম্পাদক আবুল বাসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।