• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
রাজধানীতে হাতে হাতে ‘বাংলাদেশের খবর’ টেলিগ্রাম

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় নিয়ে গতকাল টেলিগ্রাম প্রকাশ করে দৈনিক বাংলাদেশের খবর। এটি পড়ছেন পাঠকরা

ছবি - বাংলাদেশের খবর

বাংলাদেশ

রাজধানীতে হাতে হাতে ‘বাংলাদেশের খবর’ টেলিগ্রাম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ অক্টোবর ২০১৮

বহু প্রতীক্ষিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষিত হয় গতকাল বুধবার। এদিন দেশের সাধারণ মানুষ রায় শোনার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে ছিলেন। দৈনিক বাংলাদেশের খবর একটি টেলিগ্রাম প্রকাশ করে রায় ঘোষণার পরপরই। যা ছিল রায় ঘোষণার পর এ বিষয়ে মুদ্রিত প্রথম সংবাদপত্র।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় নিয়ে বাংলাদেশের খবরের দুই পৃষ্ঠার বুলেটিন প্রকাশের পর সাধারণ মানুষ তুমুল আগ্রহে কপি সংগ্রহ করেন। রাজধানীর কমলাপুর, মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন মোড়, সদরঘাট, ফার্মগেট, মহাখালী, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদের মতো জনবহুল স্পটগুলোতে ‘বাংলাদেশের খবর’-এর টেলিগ্রামটি ব্যাপক বিক্রি হতে থাকে। দ্রুতই বিক্রি হয়ে যায় এর সকল কপি। রাজধানীর ছুটে চলা ব্যস্ত মানুষের হাতে হাতে দেখা যায় বাংলাদেশের খবরের বুলেটিন।

মূলত এই মামলার রায়ের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ এবং পাঠকচাহিদার কথা ভেবেই  ‘বাংলাদেশের খবর’ কর্তৃপক্ষ বুলেটিন প্রকাশ করে। গতকাল বিকালে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় বুলেটিন হাতে পাঠক মফিজুর রহমান (৪৫) বলেন, গণমাধ্যমের এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এমন ঐতিহাসিক রায়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দৈনিক বাংলাদেশের খবর বুলেটিন প্রকাশের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আমরা দুপুর আড়াইটার মধ্যেই এ রায়ের আদ্যোপান্ত এক পাতার একটা বুলেটিনে পেলাম।

প্রকাশিত বুলেটিনে রায়ের বিস্তারিত বিবরণ ও অন্যান্য বিশ্লেষণধর্মী লেখা কৌতূহলী পাঠকের তৃষ্ণা মেটাতে পেরেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা দেশে বারবার ঘটে না। এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় যেমন ঐতিহাসিক ছিল, এটিও তেমন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট। সেই নির্মম হামলায় আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন মারা যান। ওইদিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও মারা যেতে পারতেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে যান। এসব বিবেচনায় এই রায়ের ঘটনাটি ঐতিহাসিক। অগণিত আগ্রহী পাঠকের কথা চিন্তা করেই বুলেটিন প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর নেপথ্যে কাজ করেছেন একঝাঁক সংবাদকর্মী ও কলাকুশলী। অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য তাদেরও ধন্যবাদ প্রাপ্য।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads