সেন্টমার্টিন বিষয়ে বাংলাদেশকে এখনো কিছু জানায়নি মিয়ানমার। দেশটির রাষ্ট্রীয় ওয়েবসাইটে সেন্টমার্টিনকে রাখাইনের অন্তর্ভুক্ত করে মানচিত্র প্রকাশ করা তথ্য-উপাত্তে পরিবর্তন আনা হয়েছে কেবল। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিতভাবে না জানালে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারকে এ বিষয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে এ নিয়ে জবাব পেতে আরো এক সপ্তাহ লাগতে পারে।
সম্প্রতি সেন্টমার্টিনের নাম বদল করে মিয়ানমার তাদের মানচিত্রের আরাকান অংশে ‘মঙটাও’ নামে অভিহিত করে। বিষয়টি জানার পরপরই দেশটির ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে গত ৬ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ে তলব করে তার প্রতিবাদ জানানো হয়। সেই সঙ্গে একটি কূটনৈতিক পত্রও দেওয়া হয়। তাতে এ ঘটনার বিষয়ে মিয়ানমারের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়। এরপর গত ১১ অক্টোবর ফের উ লুইন ও’কে মন্ত্রণালয়ে আসতে বলা হয় এবং লিখিত জবাবের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি জানান, বিষয়টির জন্য তার দেশ আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মানচিত্রসহ আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে তার দেশ। শিগগিরই এ বিষয়ে ঢাকাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
এরপর আরো এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও মিয়ানমারের তরফ থেকে কোনো লিখিত জবাব মেলেনি। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আনুষ্ঠানিক জবাবের জন্য আরো এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা হবে। এর মধ্যে কোনো জবাব না এলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালে মানচিত্রে সেন্টমার্টিন ভারত উপমহাদেশের অংশ ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের পর সেটি পাকিস্তান অংশ হয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভ করলে সেটি বাংলাদেশের অংশ হয়। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ সমুদ্রসীমা বিষয়ক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল (আইটিএলওএস) বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তির রায় দেন। ওই রায়েও সেন্টমার্টিনকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
