• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ

তোষাখানার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৬ নভেম্বর ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে এবং দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের পাশে নবনির্মিত তোষাখানার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা আমাদের কেবল স্বাধীনতাই দিয়ে যাননি, তিনি আমাদের মর্যাদাও দিয়ে গেছেন। এই মর্যাদাকে আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে। এ সময় তিনি বলেন, গত ১০ বছরে তার সরকারের শাসনে দেশের জনগণের জীবন-মান উন্নত হয়েছে এবং তিনি এই জীবন-মানের আরো উন্নয়ন ঘটাতে চান। তিনি বলেন, আমরা ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করব এবং ওই সময়ের মধ্যে দেশকে আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলব। আর ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। খবর বাসস।

রাষ্ট্রীয় পদাধিকারীদের দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত উপহারসামগ্রী সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ উপহারসামগ্রী দেশের সম্পত্তি এবং দেশের সন্মান ও মর্যাদার প্রতীক। কাজেই এসবকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি বলেন, অতীতে তার নামে এবং নৌকার প্রতীক সংবলিত অনেক উপহার, বিভিন্ন দুর্লভ আলোকচিত্র বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এই তোষাখানার নির্মাণকাজ যথাযথভাবে সম্পন্নের জন্য ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরপরই দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী সংরক্ষণের জন্য তোষাখানা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতির পিতার নির্দেশেই ‘তোষাখানা আইন ১৯৭৪’ (রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা) প্রণীত এবং বঙ্গভবনে এই তোষাখানা স্থাপন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তীকালে এই তোষাখানার জন্য পৃথক ভবনের প্রয়োজন অনুধাবন করায় তার নির্দেশনাতেই রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী সর্বসাধারণের প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের পাশে পৃথক এই নান্দনিক তোষাখানা ভবন নির্মাণ করা হয়।

বিজয় সরণিতে রাষ্ট্রীয় তোষাখানার ৫ তলার অত্যাধুনিক ভবনটির আয়তন ৫০ হাজার বর্গফুট। ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই তোষাখানায় দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং কর্মকর্তারা যেসব রাষ্ট্রীয় উপহার পাবেন তা সংরক্ষণ করা হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার।

বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী প্রধানরা এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads