• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
পল্টনের ঘটনা ফৌজদারী অপরাধ : ইসি

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ

পল্টনের ঘটনা ফৌজদারী অপরাধ : ইসি

  • প্রকাশিত ১৯ নভেম্বর ২০১৮

দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণের সময় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষ ও পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ফৌজদারী অপরাধ বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আজ বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্য কমিশনারা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘গত ১৪ নভেম্বর রাজধানীর পল্টনে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন পুলিশের আইজিপির কাছ থেকে পূর্নাঙ্গ ঘটনার বিবরণ চেয়ে একটি প্রতিবেদন তলব করেছিল। গতকাল রোববার আইজিপি অডিও ভিডিও, স্টিলচিত্রসহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সেই প্রতিবেদন আজকের কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখেছে যে এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এটি বর্তমানে তদান্তধীন রয়েছে। পুলিশকে ইসির পক্ষ থেকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে যাতে অহেতুক হয়রানি করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।’

আগামীতে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেই দিকেও খেয়াল রাখতে পুলিশকে বলা হয়েছে উল্লেখ করে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সেই ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দল ও ভোটাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

তারেক রহমানের অনলাইন কার্যক্রম আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে না এবং এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করণীয় নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিদেশে থেকে অনলাইনে মনোনয়ন সাক্ষাৎকার গ্রহণ করছেন তারেক রহমান। তিনি যেহেতু দেশে নেই, তাই আচরণ বিধিমালা উনার জন্য প্রযোজ্য হবে না। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই। কিন্তু যেহেতু হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা রয়েছে, সেই নির্দেশনা পালন করা সবার দায়িত্ব।’

নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলা সম্পর্কে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে দেশের ৯০ শতাংশ প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন যারা নির্বাচনী প্রচারণা সরিয়ে ফেলেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ হয়েছে।

বিএনপির দেওয়া মামলা-গ্রেফতারের তালিকার বিষয়ে সচিব বলেন, বিএনপির তালিকায় তফসিলের পরের মামলাগুলোর অপরাধের বিস্তারিত বর্ণনা না করায় এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যেহেতু দণ্ডিত তাই তাদের ছবি দলীয় প্রধান হিসেবে প্রার্থীরা পোস্টারে ব্যবহার করতে পারবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ব্যবহার করতে চাইলে করতে পারেন। এটা রাজনৈতিক দলের দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads