• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
সবুজ ঘাসের সমুদ্র সৈকত গুলিয়াখালি

গুয়ালখালী সমুদ্র সৈকত

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ

সবুজ ঘাসের সমুদ্র সৈকত গুলিয়াখালি

  • মো. নাছির উদ্দিন অনিক, সীতাকুণ্ড
  • প্রকাশিত ০৮ জুন ২০১৯

চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডের বঙ্গপসাগরের মোহনায় অবস্থিত সবুজ ঘাসের সমুদ্র সৈকত গুলিয়াখালি।অপরূপ সৌন্দর্যে্যর এই সৈকতকে দেখার জন্য ভ্রমন পিপাসু পর্যটকরা সকাল-বিকেল এখানে  ভীড় করছেন ।

প্রকৃতি ও গঠনগত দিক থেকে অন্যান্য সমূদ্র সৈকত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এই গুলিয়াখালি সুমদ্র সৈকত। প্রকৃতি এই সৈকতকে সাজাতে কোনো কার্পণ্য করেনি। একদিকে দিগন্তজোড়া সাগর জলরাশি আর অন্য দিকে কেওড়া বন, সবুজ গালিচার বিস্তৃত ঘাস, তারি মাঝে প্রাকৃতিকভাবে জেগে উঠেছে আঁকা বাঁকা নালা।  সাগরে  যখন জোয়ার সৃষ্টি হয় তখন স্রোতের পানিতে সবুজ ঘাসের ফাঁকে নালাগুলি কানায় কানায় পানিপূর্ণ হয়ে উঠে, জোয়ার চলে গেলে পানিশুন্য হয়ে পড়ে নালাগুলো। এখানে সাগরে ঘোরার জন্য রয়েছে অসংখ্য বোট। এসব বোটে সন্দ্বীপ চ্যানেল পর্যন্ত যাওয়া যায়।  অন্যদিকে সন্ধ্যা হলে সোনালী আভায় নীরব নিস্তব্ধ সমূদ্র , সাগরজলে সূর্যের রক্তিম আভা, হরিণ ও শিয়ালের দেখা পাওয়া যায়।

এই সমুদ্র সৈকত ঘুরতে আসা ঢাকা তিতুমির কলেজে ভূগোল বিভাগে অধ্যয়নরত ছাত্র আনাস রহমান জানান,  এক কথায় অপরূপ। ফেসবুকের ট্রাভেল পেজে দেখে এখানে এসেছি। আর এসেই মুগ্ধ হয়েছি। চারদিকে সবুজ ম্যানগ্রোভ এর মাঝে ছোট ছোট নালা বিচকে দিয়েছে ভিন্নতা যা সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বনের মত।

এই সমুদ্র সৈকত উপভোগ করতে ঢাকা বা চট্টগ্রাম যেদিক থেকে আসুন না কেন সীতাকুণ্ডে নামতে হবে। সীতাকুণ্ড স্টেশন সংলগ্ন সেতুর নীচ দিয়েই পশ্চিম দিকে একটি রাস্তা প্রবাহিত এটাই গুলিয়াখালি বীচে যাওয়ার রাস্তা। নীচে ব্রীজ সংলগ্ন পূর্বে রয়েছে  সিএনজি ট্রেক্সি স্টেশন, এখান থেকে সৈকত সংলগ্ন বাঁধ পর্যন্ত  ৫ কিলোমিটার পথের ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা বা রিজার্ভ নিলে ১৫০টাকা । নিজস্ব বা ভাড়া মাইক্রো বা কার থাকলে অনায়াসে আসা যায় এ সমুদ্র সৈকতে।তবে পিকনিকে বাস মিনি বাস  নিয়ে যারা আসেন তাদেরকে সীতাকুণ্ড মেইন রোডে বাস মিনিবাস রেখে আসতে হয়। কার  রাস্তাটি সরু।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহেদ হোসেন নিজামী বাবু জানান, গত তিন/চার বছর ধরে এখানে পর্যটক আশা শুরু করেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় যা যা করণীয় তা আমরা করছি, যাতায়াতের সাময়িক অসুবিধা আছে।  সৈকতের অবকাঠামোগত উন্নয়নে একটা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দেয়া হবে।  

ভ্রমন পিপাসু পর্যটকরা মনে করেন, এই সমুদ্র সৈকতের এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হলে সমুদ্র দেখার জন্য মানুষ যে হারে কক্সবাজার ও পটুয়াখালি যায় সেই হারে এই সীতাকুণ্ড আসবে গুলিয়াখালি সবুজ সৈকত দেখার জন্য। এবং এই সৈকতই হবে চট্টগ্রাম জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় সমূদ্র সৈকত তথা পর্যটন স্পট। প্রয়োজন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা। তাদের সহযোগিতা পেলে গুলিয়াখালি সবুজ বিচকে পর্যটন স্পট ঘোষণা করা সম্ভব।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads