নরসিংদীর শিবপুরে প্রতিবন্ধী তরুণীকে হত্যার পর ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কলেজ গেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তার দেওয়া তথ্য মতে তার বাড়ীর বাথরুমের ভিতর থেকে ভিকটিম সাবিনার মোবাইল ও সীম উদ্ধার করা হয় এবং বাড়ির পাশের একটি নর্দমা থেকে তার ভ্যানিটিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত ভ্যানিটিব্যাগ ভিতরে সাবিনার ব্যবহৃত আয়না, চিরুনি, একটি ওড়না ও অন্যান্য প্রসাধণী সামগ্রী পাওয়া যায়। এছাড়াও হত্যায় ব্যবহৃত আসামির পরিহিত শার্ট ও আসামির মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে নরসিংদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র্যাব-১১ অধিনায়ক শমসের উদ্দিন ।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ অধিনায়ক শমসের উদ্দিন বলেন, চলতি বছরের মার্চ মাসের দিকে শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী সাবিনা আক্তার (২১) এর সাথে পরিচয় হয় একই উপজেলার দুলালপুর গ্রামের হানিফ ফকিরের ছেলে সাইফুল ইসলামের। এরপর সাবিনাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ সময় কয়েক বার সে সাবিনাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় কিন্তু সাবিনা তাতে রাজি না হওয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের ফন্দি আটে। গত ৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকালে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশা করে টান ছলনা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করে । পরে রাত ৯টায় পার্শ্ববত্তী কাজিরচর গ্রামের একটি কলা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা চালায়। বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে রাজি হয়নি সাবিনা। পরে সাইফুল তার গায়ের খোলা শার্ট দিয়ে সাবিনার গলা পেঁচিয়ে ও মুখ চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর সাবিনাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে । ধর্ষণের লাশ রেখে মোবাইল ও ভ্যানিটিব্যাগ নিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে যায়। সাইফুল মোবাইলটি বন্ধ করে বাড়ির বাথরুমের ভিতরে ও ভ্যানিটি ব্যাগ বাড়ির পাশে একটি নোংরা নর্দমায় ফেলে দেয়। ঘটনার পর হতে সাইফুল আত্মগোপন করে।
শমসের উদ্দিন আরো বলেন, ঘটনার দুইদিন পর ৮ জুন শনিবার কাজিরচর গ্রামের একটি কলা বাগান থেকে এক অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সাবিনার পরিবার তার লাশ সনাক্ত করে।
