• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

বাংলাদেশ

আবারো অস্বস্তি পেঁয়াজের দামে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ আগস্ট ২০১৯

ঈদের কিছুদিন আগে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ ছাড়িয়েছিল। এরপর সরকারের তোড়জোড়ে সেটা আবার ৪০ টাকায় নেমে আসে। কিন্তু ঈদের পর থেকেই আবারো বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। এখন বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।

এমন অবস্থায় আদা রসুনের চড়া দামের সঙ্গে পেঁয়াজের এ বাড়তি ঝাঁজে বড় অস্বস্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। গতকাল কারওয়ান বাজারে একজন ক্রেতা রাশিদুল হাসান রশিদ বলেন, সংসারের এক সপ্তাহের জন্য ৩ কেজি পেঁয়াজ আর এক কেজি করে আদা ও রসুন কিনেছি। তাতেই ৫০০ টাকা শেষ। এটা কী ধরনের অবস্থা। তাহলে মাসে এ তিন পণ্যেই খরচ কত হচ্ছে? হিসাব করুন, মাথা ঘুরে যাবে।

তার হিসাবটা কষলে আসলেই মাথা ঘোরায়। কারণ এখন প্রতি কেজি ভালো মানের আদার দাম ২০০ টাকায় উঠেছে। এর মধ্যে চীন থেকে আমদানি করা আদা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেলেও ইন্দোনেশিয়ার আদা কিনতে লাগছে ২০০ টাকা। পাশাপাশি খুচরা বাজারে ঈদের আগে চীনা রসুন মানভেদে ১৬০ টাকা ছিল। আর দেশি রসুন ছিল আরো ২০ টাকা কমে ১৪০ টাকার আশপাশে। এখন বাজারে দুই পদেরই দাম ১৮০ টাকা কেজি। যেখানে সাধারণ সময়ে এসব পণ্য ৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকার মধ্যে থাকে।  

কেন এত দাম? জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা জয়নাল হক বলেন, ঈদের কারণে এসবের চাহিদা বেড়েছিল। তখন থেকেই দাম বাড়তি। আর ওই সময় বাড়তি চাহিদার কারণে এখন বাজারে সরবরাহ ঘাটতি রয়ে গেছে। যে কারণে দাম কমছে না।  

অন্যদিকে ঈদের পর থেকে বাজারে সবজির দামও বেশ চড়া। গতকাল কারওয়ান বাজারের পাশাপাশি আরো বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখনো পটোল, বেগুন, কাকরোল, ঢেঁড়স বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজির কেজি ৫০ টাকার ওপরে। আর চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ধুন্দল কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকায়।

অন্যদিকে বিভিন্ন বাজারে নতুন শিম আসতে দেখা গেছে। অসময়ে এ সবজি খেতে হলে কেজিপ্রতি গুনতে হবে ২০০ টাকা। আর বাজারে একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। কম নয় পেঁপে ও মিষ্টিকুমড়ার দামও। পেঁপের কেজি ৩০-৩৫ টাকা আর মিষ্টিকুমড়ার ফালি ২০ টাকার নিচে নেই। সঙ্গে ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ নিলে গুনতে হবে ২০-২৫ টাকা।

এত অস্বস্তির মধ্যে একটি স্বস্তির খবরও রয়েছে বাজারে। সেটা হচ্ছে রাজধানীর বাজারে কিছুটা কমেছে ইলিশের দাম। কারণ বাজারে প্রচুর ইলিশের সরবরাহ রয়েছে। যদিও অন্য সব ধরনের মাছের দাম এখনো চড়া। মাছের বাজারে ক্রেতারা বলছেন, বেশ কিছু সময় মাংস খাওয়ার পড়ে সবাই যখন মাছের বাজারে ঝুঁকছে তখন সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি দাম।

মাছ বাজারে পাঙ্গাস, সিলভারকার্প, তেলাপিয়া ও কিছু চাষের কার্প জাতীয় মাছ ছাড়া কিছুই ৪০০ টাকার নিচে মিলছে না। আর সব ধরনের দেশি মাছের দাম ৬০০ থেকে হাজার টাকা। সমুদ্র থেকে আসা রূপচাঁদা বা অন্যান্য মাছও এখন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

তবে সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা কমেছে ইলিশ মাছের দাম। মাঝারি একটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। বড় ইলিশের কেজি পড়ছে গড়ে হাজার টাকা। আর ৪০০ টাকা হলেও মিলবে ছোট ইলিশের স্বাদ। রামপুরা বাজারে একজন বিক্রেতা বলেন, তুলনামূলকভাবে ইলিশের দাম কম, তবে আস্তে আস্তে মাছের সাপ্লাই বাড়ছে। এমন সরবরাহ অব্যাহত থাকলে দাম আরো কমবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads