• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ইউনিয়ন ও উপজেলায় চিকিৎসা নিশ্চিতে বিশেষজ্ঞের প্রস্তাবনা

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ

ইউনিয়ন ও উপজেলায় চিকিৎসা নিশ্চিতে বিশেষজ্ঞের প্রস্তাবনা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ জুন ২০২০

দেশের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সময়োপযোগী ও জনচিকিৎসাবান্ধব বেশ কিছু গাইডলাইন উপস্থাপনা করেছেন রাজধানীর ল্যাব-এইড বিশেষায়িত হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ভাস্কুলার সার্জন ডা. বজলুল গনি ভূঁইয়া। প্রস্তাবনায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে দক্ষ লোকবল নিয়োগ, তাদেরকে যথাযথ দায়িত্ব নির্ধারণ করে দেয়া, কেন্দ্রগুলোর প্রশাসনিক ভূমিকা নির্ধারণ, চিকিৎসক ও চিকিৎসাকেন্দ্রের মানসম্মত আবাসন ব্যবস্থা গড়া, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সেগুলোকে কীভাবে স্বচ্ছ জবাবদিহির আওতায় আনা যায়, সেসব কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। শুধু করোনাভাইরাসের দুর্যোগকালেই নয়, করোনা পরবর্তী সময়েও তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবায় এসব পুর্নবিন্যাস জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

উন্নত দেশগুলোর মতো সারা দেশের রোগীদের তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার কথাও তুলে ধরেছেন প্রস্তাবনায় প্রখ্যাত এই চিকিৎসক। চিকিৎসকদের ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাখতে তাদের কিছু বেসিক সুবিধা সরকারকে কীভাবে নিশ্চিত করা করতে হবে, সেসব কথাও থাকছে প্রস্তাবনায়। তৃণমূলের মানুষের সরকারি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করাই তার প্রস্তাবনাগুলোর মূল উদ্দেশ্য।

দেশের অন্যতম রক্তনালি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বজলুল গনি ভূইয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো সম্পর্কে প্রস্তাবনায় বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় হবে সেগুলোর প্রধান কার্যালয়। জনসংখ্যার নিরিখে ৫০ থেকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হবে প্রত্যেকটা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। যে উপজেলায় লোকসংখ্যা বেশি, সেখানে হাসপাতালের শয্যাও বেশি থাকবে। সেগুলোতে ২৪ ঘণ্টা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ভিআইপি, উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের জন্য হাসপাতালগুলোতে ১০টি শয্যা আলাদা নির্ধারণ করা থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘মেডিকেল, সার্জিকাল, গাইনোকোলজিকাল, পুষ্টি ও পরিবার কল্যাণসহ বিভিন্ন চিকিৎসা উপজেলা পর্যায়ে নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে রোগীদেরকে জেলা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ এবং বিশেষায়িত হাসপাতালে রেফার করার জন্য দায়বদ্ধ থাকবে উপজেলা পর্যায়। জেলা ও বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে রোগীরা নিজের বাড়িতে ফিরে এলে তাদের ফলো-আপও রাখবে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র।’

গত ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার নিরিখে ডা. বজলুল গনি ভূইয়া বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে আমরা কাক্সিক্ষত সফলতা অর্জন করতে পারিনি। ইউনিয়ন সেন্টারগুলোতে (ইউনিয়ন হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি প্ল্যানিং ওয়েলফেয়ার সেন্টার) যেসব জনবল থাকে, তাদের কাউকে কেন্দ্রগুলোর দায়িত্ব সেভাবে দেয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর প্রধান হবেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। সেখানে ২৪ ঘণ্টা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। সেখান থেকে রোগীদের প্রয়োজনে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রেফার করবে। তারা রেফার করা রোগীদের খোঁজ-খবরও রাখবে। ইউনিয়নে বেসিক কিছু পরীক্ষার জন্য যন্ত্রপাতি থাকবে। সেখানে রোগীদের জরুরি চিকিৎসাগুলো করবে। অফিসে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট থাকবে। সেখানে যেসব লোকবল থাকবেন, তাদের দায়িত্বে থাকবেন ওই সেন্টারের প্রধান পদের একজন।’ জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে প্রস্তাবনাগুলোর বিস্তারিত দেশের গণমাধ্যমে শিগগিরই তুলে ধরা হবে জানান দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসক বজলুল গনি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads