• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
সাকিব-রাসেল ঝড়ে দুরন্ত ঢাকা

বল হাতে দুই উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ঝড়ো ইনিংসের পথে সাকিব

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বিপিএল

সাকিব-রাসেল ঝড়ে দুরন্ত ঢাকা

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই প্রবল আধিপত্য। দারুণ ছন্দে টানা চার ম্যাচে জয়। সেই সুবাদে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে। পঞ্চম ম্যাচে এসে খানিকটা ছন্দপতন। হারতে হলো রাজশাহী কিংসের কাছে। কিন্তু দুর্দমনীয় ঢাকা ডায়নামাইটস ঝলসে উঠল পরের ম্যাচেই। গতকাল সিলেট সিক্সার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জেতার পূর্বাভাস যেন দিয়ে রাখল সাকিব শিবির।

আগে ব্যাট করতে নেমে ওয়ার্নার ঝড়ে সিলেটের সংগ্রহও খারাপ ছিল না, ১৫৮/৮। কিন্তু সাকিব ও রাসেল ঝড়ে সব যেন মিইয়ে গেল। ১৮ বল বাকি থাকতে ঢাকা পেল দারুণ এক জয়, মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে। ঢাকার টপ অর্ডার এ দিন ব্যর্থ। ওপেনার মিজানুর ১ রানেই বিদায়। নারিনে ১০ বলে করলেন তাও ২০। রনি তালুকদার (১৩) লামিচানের বলে বোল্ড। ৩৭ রানে তিন উইকেট হারানো ঢাকাকে তখন পথ দেখান অধিনায়ক সাকিব ও দারিশ রাসুলি। এই জুটি দলকে নিয়ে যায় ১১২ রান পর্যন্ত। এর মধ্যে বেশিরভাগ রানই আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। কারণ রাসুলি সাজঘরে ফেরেন ১৫ বলে ১৯ রান করে।

এরপর ঢাকার গল্পটা ঝড়োময়। সাকিবের সঙ্গে টর্নেডো ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। দুজনে শেষ পর্যন্ত থাকেন অবিচ্ছিন্ন। ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় পাইয়ে দেন রাসেল। ২১ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন রাসেল। যার মধ্যে দুটি চার, আর চারটি ছক্কা। সাকিব ছিলেন সেরা অবস্থায়। ৪১ বলে তিনি অপরাজিত থাকেন ৬১ রানে। তিনি হাঁকিয়েছেন আটটি চার ও দুটি ছক্কা। বল হাতে দুটি উইকেটও নেন সাকিব। ফলে অনুমিতভাবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই। 

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামে সিলেট। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাট করতে নামেন লিটন দাস ও সাব্বির রহমান। তবে চিত্র বদলায়নি। এক পাশে রান তুলেছেন লিটন, আরেক পাশে সাব্বির নিষ্প্রভ। ১৪ বলে ২৭ রান করা লিটনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাকিব। মন্থর শুরুর পর সাব্বির পারেননি ইনিংস বড় করতে। ফেরেন ১৬ বলে ১১ রান করে।

তৃতীয় উইকেটে আফিফ হোসেন ও ওয়ার্নার মিলে দলকে এগিয়ে নেন কিছুটা। সম্ভাবনাময় এই জুটি থামে ৪০ রানে।

১৭ বলে ১৯ রান করে আফিফ আউট হন অ্যান্ড্র বার্চের বলে কিপার নুরুল হাসান সোহানের দারুণ ক্যাচে। সোহানের আরেকটি দুর্দান্ত ক্যাচে পরের ওভারে ফেরেন অলক কাপালী। নিকোলাস পুরানকে ৬ রানে বোল্ড করেন সুনীল নারিনে। ১৩ ওভারে সিলেটের রান তখন ৫ উইকেটে ৮৬।

এক প্রান্তে টিকে থাকা ওয়ার্নার এরপর ভরসা পান জাকের আলির ব্যাটে। সিলেটেরই সন্তান এই তরুণ কিপার সঙ্গ দিয়ে গেছেন ওয়ার্নারকে। সময়ের সঙ্গে ওয়ার্নার বাড়িয়েছেন রানের গতি। দুজনের জুটি পঞ্চাশ স্পর্শ করে ২৯ বলে। ওয়ার্নার টানা দ্বিতীয় ও টুর্নামেন্টে তৃতীয় ফিফটি স্পর্শ করেন ৩৭ বলে। শেষের আগের ওভারে আউট হন ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬৩ করে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে কিপার ব্যাটসম্যান জাকের করেছেন ১৮ বলে ২৫।

ঢাকার হয়ে আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার অ্যান্ড্রু বার্চ নিয়েছেন ৩ উইকেট, তবে রান খরচ করেছেন ৪ ওভারে ৪২। ঢাকাকে ভুগতে হয়েছে অফ স্পিনার আলিস ইসলাম এক ওভার বল করেই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ায়।

৬ ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় শীর্ষস্থান পোক্ত করেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। সেখানে তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে সিলেট সিক্সার্স। ছয় ম্যাচে দলটির জয় মাত্র দুটিতে, হার চারটিতে। আর একটি ম্যাচ খেলে সিলেট সিক্সার্স থেকে বিদায় নেবেন অধিনায়ক ওয়ার্নার। চোটের কারণে আগামীকাল দেশে ফিরে যাবেন তিনি। ওয়ার্নারকে মিস করবে দলটি, এটা অনুমিত। তবে সিলেটের নতুন ভরসা এখন ইংল্যান্ডের জেসন রয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads