• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সিলেটকে হারিয়ে রংপুরের প্রতিশোধ

সিলেটের উইকেট পতনে রংপুর দলের উল্লাস

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বিপিএল

সিলেটকে হারিয়ে রংপুরের প্রতিশোধ

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২০ জানুয়ারি ২০১৯

তারকাসমৃদ্ধ দল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। কিন্তু এবার তারা গতবারের চমক দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছিল। বিশেষ করে টানা তিন হারের পর বিপিএলের শেষ চারে তাদের খেলার সম্ভাবনা ক্রমেই ককে যাচ্ছিল। যার মধ্যে সবশেষ পরাজয়টি ছিল সিলেট সিক্সার্সের কাছে। অবশেষে হ্যাটট্রিক হারের পর জয়ের দেখা পেল রংপুর রাইডার্স। গতকাল শনিবার সিলেটের মাঠে সেই সিলেট সিক্সার্স দলকেই ৪ উইকেটে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সেই সঙ্গে শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা বাড়িয়ে নিল রংপুর।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাব্বির রহমানের বিধ্বংসী ব্যাটে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান করেছিল স্বাগতিক সিলেট দল। জবাবে ১৯.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৫ রান করে জয় ছিনিয়ে নেয় রংপুর।

রংপুর আগের দেখায় সিলেটের কাছে ১৮৮ রানের টার্গেট পেয়ে হেরে যায়। এবার তার চেয়েও বেশি রানের লক্ষ্য দেয় স্বাগতিকরা। কিন্তু দুই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের কল্যাণে ৩ বল হাতে রেখে জিতেছে রংপুর। বিপিএলে অভিষেকের ম্যাচ রাঙাতে ভুল করেননি এবি ডি ভিলিয়ার্স। ৬৩ রানের মধ্যে ক্রিস গেইল (০) ও অ্যালেক্স হেলস (৩৩) বিদায় নিলে মাঠে নামেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের সতীর্থ রাইলি রুশোর সঙ্গে ৬৭ রানের দারুণ জুটি গড়েন ডি ভিলিয়ার্স। ২১ বলে ২টি করে চার ও ছয়ে ৩৪ রান করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান, যা ছিল তার বিপিএলে প্রথম কোনো ম্যাচ। তার ৫ বল আগে তাসকিন আহমেদ ফেরান রংপুরের সর্বোচ্চ স্কোরার রুশোকে। ৩৫ বলে ৯ চার ও ২ ছয়ে সাজানো ছিল তার ৬১ রানের ইনিংস। এই জোড়া আঘাতের পরও আশা হারায়নি চ্যাম্পিয়নরা। মোহাম্মদ মিঠুন ও নাহিদুল ইসলামের ৩৭ রানের জুটি জয়ের পথে রেখেছিল তাদের। যদিও আবার তাসকিনের জোড়া আঘাতে ফিরে যান দুজনই। মিঠুন ১৪ ও নাহিদুল ১৯ রানে মাঠ ছাড়েন। শেষ ২ ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ২৪ রান। অধিনায়ক মাশরাফি ও ফরহাদ রেজা ক্রিজে থেকে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন। শেষ ওভারে ৫ রান করতে হতো তাদের। ফরহাদ শেষ ওভারের তৃতীয় বলে জয়সূচক বাউন্ডারি হাঁকান। ৬ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। প্রথম বলেই চার মারা মাশরাফি টিকে ছিলেন ৫ রানে। সিলেটের তাসকিন ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।

এর আগে বড় স্কোর গড়ে সিলেট সিক্সার্স। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৩ রানেই ওপেনার লিটন দাসের (১১) উইকেট হারায় সিলেট। এরপরই ব্যাট হাতে স্ট্রোকের পসরা সাজিয়ে বসেন সাব্বির। মাত্র ৫১ বলে ৮৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস উপহার দেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এই ইনিংস খেলার পথে ৫ চার ও ৬ ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। সিলেট অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার চলতি আসরে নিজের শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে ২১ বলে ১৯ রান করে মাশরাফির শিকার হয়ে ফিরেছেন। এর আগে ১৯ রান করে রানআউটের খাড়ায় কাটা পড়ে বিদায় নেন আফিফ হোসেন। শেষদিকে সাব্বিরের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন পুরান। মাত্র ২৭ বল খেলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলার পথে পুরানের ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ৩ ছক্কার মার।

বল হাতে ৪ ওভারে ৩১ রান খরচ করে ২ উইকেট পান রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি। ১ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন শফিউল।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads