• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
মুশফিক-মোসাদ্দেকের ব্যাটে পয়েন্টের শীর্ষে চিটাগং

হাফসেঞ্চুরির পথে মুশফিকের বাউন্ডারি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বিপিএল

মুশফিক-মোসাদ্দেকের ব্যাটে পয়েন্টের শীর্ষে চিটাগং

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

শুরুটা টালমাটাল হলেও শেষটা চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে সাজানো। মুশফিকুর রহিম ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে গতকাল চিটাগং ভাইকিংস ৬ উইকেটে পরাজিত করেছে রাজশাহী কিংসকে। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা রাজশাহীর করা ৫ উইকেটে ১৫৭ রানের জবাবে চিটাগং জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ৪ উইকেট হারিয়ে, ২ বল হাতে রেখে। দারুণ এই জয়ে চলমান বিপিএলে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এলো চিটাগং। ৭ ম্যাচে ৬ জয়ে দলটির পয়েন্ট ১২। সেখানে ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। ৮ ম্যাচে সমান ৪ জয়-পরাজয়ে রাজশাহীর পয়েন্ট ৮। অবস্থান পঞ্চম।

জিততে হলে করতে হবে ১৫৮ রান। এমন লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার ডেলপোর্টকে হারায় চিটাগং ভাইকিংস। মিরাজের বলে এলবিডব্লিউর শিকার তিনি। ৩ বলে ১ রান সম্বল ডেলপোর্টের। রানের গতি ধরে রাখেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। কিন্তু তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ইয়াসির আলী। দলীয় ২৯ রানে সানির বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার তিনি। ৭ বলে তিনি করতে পারেন ৩ রান। দলীয় স্কোরে এক রান যোগ হতে এবার বিদায় হার্ডহিটার খ্যাত আফগান ওপেনার শাহজাদ। সানির বলে তিনি ক্যাচ দেন সৌম্য সরকারের হাতে। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেন ১৭ বলে ২৫ রান। যার মধ্যে ছিল পাঁচটি চারের মার।

দলের এমন বিরূপ পরিস্থিতিতে হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গে দেন আফগান ক্রিকেটার নাজিবুল্লাহ জাদরান। দুজনে দলকে টেনে নিয়ে যান ৭১ রান পর্যন্ত। ভালো খেলতে থাকা নাজিবুল্লাহ আউট হন আরাফাত সানির বলে ওঙ্কারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ১৯ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় তিনি করেন ২৩ রান। অপর প্রান্তে মুশফিক তখনো অবিচল, দৃঢ়। তার ব্যাট তখনো খোলা তরবারি। কচুকাটার চেষ্টা করছেন রাজশাহীর বোলারদের। এই অভিযানে মুশফিকের সঙ্গে যোগ দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বাকিটা রীতিমতো বিস্ময়ের। এই দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় চিটাগং ভাইকিংস। তাও দুই বল বাকি থাকতে। মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৪ রানে। ৪৬ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকিয়েছেন ৬ চার ও ২ ছক্কা। অন্যদিকে ২৬ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিনি হাঁকান চারটি চার ও দুই ছক্কা। ম্যাচসেরা মুশফিকুর রহিম। রাজশাহী কিংসের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন স্পিনার আরাফাত সানি। বাকি একটা পান মেহেদী হাসান মিরাজ।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী কিংস। বিপিএলের ২৭তম ম্যাচে উভয় দলে একটি করে পরিবর্তন। শ্রীলঙ্কার সানাকার জায়গায় এদিন ভাইকিংস দলে নাজিবুল্লাহ জাদরান। আর শাহরিয়ার নাফীসকে বসিয়ে রাজশাহীর স্কোয়াডে সৌম্য সরকার। সুযোগ পেয়ে এই ম্যাচেও কিছু করতে পারেননি সৌম্য। ওপেন করতে নেমে ৬ বল খেলে আউট হন ৩ রানে। ব্যর্থ মার্শাল আইয়ুবও। তার অবস্থা আরো খারাপ। সাত বল খেলে ১ রান। দলীয় ৮ রানেই দুই উইকেট নেই রাজশাহীর। প্রথমে সৌম্যকে ফেরান রবি ফ্রাইলিঙ্ক। আর আইয়ুব আউট হন খালেদ আহমেদের বলে।

দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর রাজশাহীর হাল ধরেন দুই বিদেশি লরি ইভান্স ও রায়ান টেন ডেসকাট। আগের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে জুটিতে ১৪৮ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন ছিলেন এ দুজন। এদিনও তেমন ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু ২৮ রান করে ডেসকাট ফিরতেই শেষ হয় সম্ভাবনা। ডাচ তারকাকে আবু জায়েদ রাহি ফেরানোর পর দ্রুতই জাকির হাসানের (৫) উইকেট তুলে নেন সানজামুল ইসলাম।

দলকে একাই টানছিলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইভান্স। শেষ পর্যন্ত খালেদ আহমেদ ফেরান ইভান্সকে। ৫৬ বলে আট চার ও দুই ছক্কায় ৭৪ রান করে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

এদিন আর ওপেন করেননি রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে শেষদিকে ক্রিজে আসেন তিনি। নিজে ১০ রান করলেও ক্রিস্টিয়ান ওঙ্কারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ৩৮ রানের জুটি গড়েন। তিন চার ও দুই ছক্কায় ২০ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ওঙ্কার। শেষ ২৬ বলে ৬৫ রান নিয়ে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে রাজশাহী। চিটাগংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। ফ্রাইলিঙ্ক, সানজামুল ও আবু জায়েদ নেন একটি করে উইকেট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads