• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
আশা জিইয়ে রাখল সিলেট

চট্টগ্রাম পর্বে টানা দ্বিতীয় জয় সিলেট সিক্সার্সের। গতকাল খুলনাকে বড় ব্যবধানে হারানোর পর স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দেয় তাসকিন, সোহেল, কাপালিদের

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বিপিএল

আশা জিইয়ে রাখল সিলেট

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

টুর্নামেন্ট শুরুর দিকে টালমাটাল অবস্থা। কিন্তু শেষের দিকে প্রবল প্রতিরোধে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সিলেট সিক্সার্স। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার অবস্থায় টানা তিন জয়ে বিপিএলের প্লে অফ খেলার স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছে অলোক কাপালি শিবির। গতকাল চট্টগ্রামে খুলনা টাইটান্সকে ৫৮ রানে পরাজিত করেছে সিলেট। অন্যদিকে আগেই বিদায় নেওয়া খুলনার জন্য এই হার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতো। বাকি দুটি ম্যাচ খুলনার জন্য স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৯৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে সিলেট। চলমান বিপিএলে সিলেটের এটি সর্বোচ্চ স্কোর। জবাবে ১৮.১ ওভারে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায় মাহমুদউল্লাহর খুলনা টাইটান্স। ব্যাট হাতে ২১ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস ও বল হাতে এক উইকেট নেওয়ার সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন সিলেট সিক্সার্সের পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ। ১০ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট সিলেটের। পয়েন্ট তালিকায় দলটি উঠে এসেছে পঞ্চম স্থানে। অন্যদিকে ১০ ম্যাচে মাত্র দুটি জয়ের দেখা পাওয়া খুলনা রয়েছে সবার নিচে। পয়েন্ট মাত্র ৪।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সিলেটকে ভালো শুরু এনে দেন লিটন ও আফিফ। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে শুভাশিষ রায়কে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন প্রমোশন পেয়ে ওপেনিংয়ে নামা আফিফ। দ্বিতীয় ওভারে দুটি করে ছক্কা-চারে ২০ রান তুলে নেন লিটন। উড়ন্ত সূচনা পেয়ে যায় সিলেট।

পরপর তিন ওভারে দুই ওপেনারের সঙ্গে জেসন রয়কে (৬ বলে ১ রান) ফিরিয়ে সিলেটকে বড় একটা ধাক্কা দেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনারকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন ২২ বলে ৩৪ রান করা লিটন। ভাঙে ৭.৫ ওভার স্থায়ী ৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি।

লং অনে ধরা পড়েন ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান রয়। একই শট খেলার চেষ্টায় লং অনে ধরা পড়েন বাঁহাতি আফিফ। ৩৭ বলে খেলা এই তরুণের ৪৯ রানের গড়া ইনিংসে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায়। রানের জন্য ছটফট করা নিকোলাস পুরান টেকেননি বেশিক্ষণ। জুনায়েদ খানের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ধরা পড়েন কিপারের গ্লাভসে।

দ্রুত চার উইকেট হারিয়ে দিক হারিয়ে ফেলা সিলেটকে দুইশো রানের কাছে নিয়ে যান সাব্বির ও মোহাম্মদ নওয়াজ। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে ৪২ বলে গড়েন ৮৯ রানের জুটি।

শুরুতে একটু সময় নেওয়া সাব্বির শেষের দিকে চড়াও হন বোলারদের ওপর। ২৭ বলে চার চার ও দুই ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে শট খেলা পাকিস্তানের অলরাউন্ডার নওয়াজ ২১ বলে অপরাজিত ৩৯ রান করেন। তার ছোট্ট ঝড়ো ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও দুটি ছক্কার মার। খুলনার হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। জুনায়েদ খান নেন একটি উইকেট। বড় টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। চারটি চারে ১১ বলে ২০ রান করে ফিরে যান জুনাইদ সিদ্দিকী। দুই ছক্কায় ১৬ রান করে বিদায় নেন আল আমিন জুনিয়র। রয়ের দুর্দান্ত এক ক্যাচে থামেন টেইলর। কিপার-ব্যাটসম্যানের ২৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংসটি গড়া তিনটি চার ও একটি ছক্কায়।

নাজমুল হোসেন শান্ত, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও ডেভিড ওয়াইজ বেশিক্ষণ টেকেননি। পরপর দুই বলে ইয়াসির শাহ (৮) ও আরিফুল হককে (২৪) ফিরিয়ে দেন নাবিল সামাদ। এরপর বেশিদূর এগোয়নি খুলনার ইনিংস। তাইজুল (৯) ও জুনায়েদ (২) চেষ্টা করেছেন পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে। পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি খুলনা। ১৮.১ ওভারে দলটি অল আউট ১৩৭ রানে।

বল হাতে সিলেটের হয়ে দারুণ করেছেন নাবিল সামাদ। ৪ ওভারে ২০ রানে তুলে নেন তিনটি উইকেট। পেসার তাসকিন পান দুটি। এছাড়া সোহেল তানভির, এবাদত হোসেন, মোহাম্মদ নওয়াজ ও অলোক কাপালি পান একটি করে উইকেট।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads