• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
মোস্তাফিজে অনুপ্রাণিত সাইফউদ্দিন

মোস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিন

ছবি : ইন্টারনেট

বিপিএল

মোস্তাফিজে অনুপ্রাণিত সাইফউদ্দিন

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

চলমান ষষ্ঠ বিপিএল আসরে ব্যাটিংয়ে খুব ভালো না করলেও বোলিংয়ে একচেটিয়া দাপট দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের বোলাররা। গত ১৩ জানুয়ারি রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে শেষ ওভারে, ২৬ জানুয়ারি চিটাগং ভাইকিংসের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে রুখে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুই ম্যাচে যথাক্রমে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৯ এবং ১৩ রান। শুক্রবার ডেথ ওভারে কারিশমা দেখালেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে শেষ ওভারে ১৩ রান আটকে দিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে শ্বাসরোধী জয় এনে দেন এই অলরাউন্ডার। মাত্র ১ রানে কুমিল্লার জয়ের নায়ক সাইফউদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, চাপের সময় কার্যকর বোলিংয়ের প্রেরণা পাচ্ছেন মোস্তাফিজের কীর্তি দেখে।

আন্দ্রে রাসেলের মতো ব্যাটসম্যান স্ট্রাইকে থাকলেও সাইফউদ্দিন শেষ হাসি হেসেছেন লক্ষ্যভেদী ইয়র্কার মেরে। ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলাতে থাকা ম্যাচের অন্তিম ওভারে বোলিংয়ে আসেন ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসার। প্রথম বলে রুবেল এলবির ফাঁদে পড়েন। দ্বিতীয় বলে শাহাদাত নেন ১ রান। তৃতীয় ও চতুর্থ বল ডট। চাপ বাড়তে থাকে আন্দ্রে রাসেলের ওপর। পঞ্চম বলে ওয়াইড ইয়র্কার থেকেও ছক্কা মেরে দেন এই ক্যারিবিয়ান। ষষ্ঠ বলটি আদর্শ ইয়র্কার। তাতেই রাসেলের আউটে পরাজিত হলো শক্তিশালী ঢাকা।

ফিল্ডিংয়ের সময় হাতে ব্যথা পেয়ে দুই ওভার মাঠের বাইরে ছিলেন সাইফউদ্দিন। ব্যান্ডেজ করে ফিরে এসে বোলিং করেন শেষ ওভার। ওই ওভারের পরিকল্পনা নিয়ে সাইফউদ্দিন বলেন, বোলিংয়ের সময় মোস্তাফিজের কথা মাথায় ছিল তার। তিনি বলেন, ‘আমার প্লান ছিল ওয়াইড ইয়র্কার। তবে রাসেল পাওয়ার হিটার। সে ভালো ছয় মারতে পারে। তাই শেষ বল ওয়াইড ইয়র্কারের বদলে ১০০ পার্সেন্ট ইয়র্কার করেছি। সবচেয়ে বড় কথা হলো, মোস্তাফিজ একই রকম একটা ম্যাচ জিতিয়েছিল রংপুরের বিপক্ষে। আমি এগুলো অনুভব করছিলাম। মোস্তাফিজ আমার বয়সী। ও পারলে আমি কেন পারব না। এই জিনিসটা মাথায় রেখে আমি বল করে সফল হয়েছি।’

ডেথ ওভারের বোলিং বিষয়ে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘আমরা যারা ক্রিকেটার, যারা ইন্টারন্যাশনাল প্লেয়ার; এদের মধ্যে যারা তারকা, গড়পড়তা প্লেয়ার হলে কোনো দাম নেই। অন্য প্লেয়ার থেকে অতিরিক্ত অনেক কিছু দেখাতে হবে। এটা আমি মাথায় নিয়েই বোলিং করি। আমাকে কুমিল্লা অনেক গুরুত্ব দেয়। সেই গুরুত্বটা সব সময় ধরে রাখার চেষ্টা করি।’

কুমিল্লা দলটার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা আমার ঘরের মতোই। আমাকে যখন কেউ চিনত না অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে, তখন ওরা আমাকে পিক করে। সুযোগ দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। শুরুতে ভালো করিনি, তবুও ম্যাচের পর ম্যাচ সুযোগ দিয়েছে। এখন আমি বিপিএলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি।’ সাইফউদ্দিন আরো বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো, সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ। স্বাভাবিকভাবে আমার চেষ্টা অন্য কিছু করার। যেহেতু ওয়ানডে টিমে জায়গা ধরে রাখা খুব চ্যালেঞ্জিং। শুরু থেকেই আমি চেষ্টা করছি কিছু একটা করতে হবে, সেই চেষ্টাই করছি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads