• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা

রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা

ছবি : ইন্টারনেট

বিপিএল

রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

লিগ পর্বের দুই ম্যাচে এই রংপুরের কাছেই খুব বাজেভাবে হেরেছিল কুমিল্লা। কিন্তু ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দৃশ্যপট ভোজবাজির মতো পাল্টে গেল। গতকাল বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আগের দুই হারের শোধটা কী দারুণভাবেই না নিল তামিম-ইমরুলরা। রংপুরের চ্যালেঞ্জিং স্কোরকে স্রেফ মামুলি বানিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স জিতল ৮ উইকেটের ব্যবধানে। দারুণ এই জয়ে বিপিএলের প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে নাম লেখাল কুমিল্লা।

হারলেও ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে রংপুরের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আগামীকাল রংপুর মোকাবেলা করবে ঢাকা ডায়নামাইটসের। এই ম্যাচে জয়ী দলই আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল খেলবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সঙ্গে।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৬৫ রান। জবাবে ৭ বল হাতে রেখে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (১৬৬/২)। ইনিংস সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭১ রানের সুবাদে অনুমিতভাবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন কুমিল্লার ক্যারিবীয় হার্ড হিটার ওপেনার এভিন লুইস।

কুমিল্লার সামনে জয়ের টার্গেটটা ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিংই। করতে হবে ১৬৬ রান। প্রত্যয়ী কুমিল্লা এমন লক্ষ্য ছুঁয়েছে বেশ দাপটের সঙ্গে। ওপেনার তামিম ভালো করতে পারেননি যদিও। ১৭ রান করে তিনি মাশরাফির শিকার। কিন্তু এরপর এনামুল হক বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যান লুইস। দ্বিতীয় উইকেট জুটি বিচ্ছিন্ন হয় দলীয় ১২৫ রানে। ৩২ বলে ৩৯ রান করে শফিউলের বলে বোল্ড হন বিজয়।

বাকিটা লুইস ও শামসুর রহমানের ঝড়ো ইনিংসে মোড়া। দুজনেই অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে দারুণ জয় পাইয়ে দেন। ৫৩ বলে পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন লুইস। শামুসর রহমান ছিলেন আরেকটু এগিয়ে। ইনিংস ছোট হলেও স্ট্রাইক রেট ছিল দুশর উপরে। ১৫ বলে তিনি অপরাজিত ৩৪ রানে। তিনি হাঁকান চারটি চার ও দুটি ছক্কা। 

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা রংপুরের গল্পটা ছিল তিন বিদেশিকে ঘিরে। লোকাল সব বয় ব্যর্থ। রান যা এসেছে তা গেইল, রুশো আর হাওয়েলের ব্যাট থেকে। গেইলের কাছে একটা বড় ইনিংস পাওনা ছিল। এদিন আশা দেখিয়েও পারেননি। ৪৪ বলে ৪৬ রান করলেও এমন স্কোর ঠিক তার নামের পাশে বেমানান। ঠিক এমন স্কোরেই একবার জীবন পেয়েও পারেননি ইনিংসটাকে বড় করতে। ছয়টি চার ও এক ছক্কাতে শেষ হয় ক্যারিবীয় দানবের ইনিংস।

ওপেনার মেহেদী মারুফ (১) শুরুতেই আউট। মোহাম্মদ মিঠুন গেইলকে বাঁচাতে হলেন রান আউট। দলীয় ৬৭ রানে গেইলের বিদায়ের পর ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা রিলে রুশো এদিনও লাইমলাইটে। দলের প্রয়োজনে করেন ৩১ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। এর আগে ইংলিশ অলরাউন্ডার রবি বোপারা হতাশ করেন সবাইকে। তবে রুশো ও হাওয়েলের জুটিই রংপুরকে এনে দেয় চ্যালেঞ্জিং স্কোর।

১৮ ওভারে রংপুুরের রান ছিল ১২৮। শেষ দুই ওভারে রান আসে ৩৭। যার মূলে হাওয়েলের খুনে মেজাজের ব্যাটিং। দলীয় ১৪৬ রানে একবার জীবন পাওয়া রুশো সাজঘরে ফেরেন সাইফের বলে। ৩১ বলের ইনিংসে রুশো হাঁকান চারটি চার ও দুটি ছক্কা। শেষটায় কুমিল্লার বোলারদের ওপর খণ্ড ঝড় বইয়ে দেন হাওয়েল। ২৮ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। যার মধ্যে চারের (৩) চেয়ে ছক্কাই (৫) ছিল বেশি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads