• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
মাশরাফির কৌশলে তামিমের সাফল্য!

মাশরাফির ও তামিম

ছবি : সংগৃহীত

বিপিএল

মাশরাফির কৌশলে তামিমের সাফল্য!

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার একটা সুনাম রয়েছে। তিনি কখনো হারার আগে হার মানেন না। প্রতিটি ম্যাচ খেলতে নামার আগে মানসিক শক্তির জোর খাটিয়ে জয়ের চিন্তা করেন সবসময়। বিপিএলের পুরো মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার তামিম ইকবাল নাকি সফল হয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়কের দেখানো কৌশল কাজে লাগিয়েই। আর সে কথা তামিম নিজেই জানালেন।

তামিম নিজের সাফল্যের পেছনের রহস্য জানালেন বিস্তারিত, ‘সত্যি কথা বলতে পুরো টুর্নামেন্টেই আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। তবে মাশরাফি ভাইয়ের কৌশল ব্যবহার করেছিলাম। উনি সব সময় বলেন, আমি জিতব, আমি জিতব। ওনার মনে কী থাকে, সেটা জানি না। পুরো বিপিএলে আমার একই কৌশল ছিল। তার থেকেই অনুপ্রাণিত বলতে পারেন। এই শিরোপা জেতার পুরো কৃতিত্ব মাশরাফি ভাইয়ের।’

বিপিএলের ৬ষ্ঠ আসরে এসে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেললেন তামিম ইকবাল। শুক্রবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে শিরোপা জিততে প্রায় একাই ভূমিকা রেখেছেন। অবশেষে বিপিএলের শিরোপা জিতে নির্ভার বাংলাদেশের সেরা এই ব্যাটসম্যান, ‘অবশ্যই নির্ভার। আমি সবসময় চেয়েছি কাপ জিততে, কিন্তু পারিনি। এমন ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়ে দলকে জেতানো বিশাল ব্যাপার। ঢাকার মতো বোলিং আক্রমণ অনেক আন্তর্জাতিক দলেও নেই। তাই এই জায়গার পারফরম্যান্স আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করতে কাজে দেবে।’

প্রথম ৯ ওভারে ঢাকার স্কোর বোর্ডে ছিল ১০২ রান। তখনও সাকিব আল হাসান, আন্দ্রে রাসেল, পোলার্ডরা ক্রিজে নামেননি। এই অবস্থায় যেকোনো দলেরই জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। তবে তামিম জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তখনও, ‘প্রথম ছয় ওভারে ওরা যেভাবে শুরু করেছিল। ১২ ওভার পর্যন্ত প্রত্যেক ওভারে একটা করে বাউন্ডারি মারছিল। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলে, বড় সংগ্রহের পেছনে তাড়া করতে গিয়ে ২/১ উইকেট পড়লে ম্যাচ পরিবর্তন হয়ে যায়। ভাগ্যক্রমে আমরা দুটো উইকেট পেয়েছি।’

ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সাকিব ও পোলার্ডের দারুণ দুটি ক্যাচ ধরেছেন তিনি। ওই ক্যাচ ‍দুটিও ম্যাচ জিততে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন তামিম, ‘আমার কাছে ক্যাচগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এসব ক্যাচ ধরা ওই মুহূর্তে খুব কঠিন। এটাও সত্যি কথা আমি হয়তো কোনো না কোনো দিন ক্যাচ মিস করব। কোনো না কোনো দিন ভালো ক্যাচ নেব। সবসময় চেষ্টা করি সুযোগ লুফে নিতে।’

১১ ছক্কায় টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। তামিম নিজেও ১৪১ রানের ইনিংস খেলে ঘোরের মধ্যে আছেন এখনো, ‘সত্যি কথা বলতে আমি এখনো স্বপ্নের ঘোরের মধ্যে আছি, কীভাবে ব্যাটিং করেছি। সত্যি কথা বলতে কী, এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না। রুমে যাব এরপর হাইলাইটস দেখব এবং তখন হয়তো বিশ্বাস হবে। বিজয় আউট হওয়ার পর কিছুটা বিরক্ত হয়েছিলাম। তবে শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি। আমাকে নতুন করে শুরু করতে হয়েছে। কেমন অনুভূতি- সেটা হাইলাইটস দেখলে বলতে পারব।’

মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া তামিম শেষ পর্যন্ত ৬১ বলে ১০ চার ও ১১ ছক্কায় করেন অপরাজিত ১৪১ রানের ইনিংস। ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলে তামিমের সবচেয়ে বড় তৃপ্তির জায়গা বাংলাদেশিরা পারফরম্যান্স করেছে বলে। তামিম স্বপ্ন দেখেন নিজের এই রেকর্ডটি একদিন ভেঙে ফেলবে স্বদেশি কোনো তরুণ, ‘দিনটিতে বাংলাদেশিরা পুরো ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। এর থেকে বেশি কিছু চাওয়ার আর হতে পারে না। আমার ইনিংস দেখে জুনিয়ররা আমার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিতে পারে। তারা যদি আমাকে টপকে যেতে পারে, সেটাই হবে বাংলাদেশের জন্য ভালো ব্যাপার।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads