• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
চলতি বছর ৪২ হাজার কোটি টাকা মূলধন হারিয়েছে ডিএসই

মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কার্যালয়

ছবি সংরক্ষিত

পুঁজিবাজার

চলতি বছর ৪২ হাজার কোটি টাকা মূলধন হারিয়েছে ডিএসই

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ জুন ২০১৮

প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে চলতি বছরের শুরু থেকেই বিপর্যস্ত অবস্থায় দেশের পুঁজিবাজার। অব্যাহত দরপতনে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ৪২ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন হারিয়েছে। এ সময় দর হারিয়েছে অধিকাংশ মৌলভিত্তির শেয়ার। তবে বিপর্যস্ত অবস্থার মধ্যেও স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারে উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্থিরতার শঙ্কা ও ব্যাংক খাতের তারল্য সঙ্কটে চলতি বছরের শুরু থেকেই পতনের ধারা দেখা যায় পুঁজিবাজারে। এতে চলতি বছরের শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৯০৩ পয়েন্ট বা ১৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গতকালও এ সূচকটি প্রায় ২৪ পয়েন্ট হারিয়েছে।

চলতি বছর অধিকাংশ শেয়ারের দরপতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ৪২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু ব্যাংক খাত হারিয়েছে ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বাজার মূলধন। আর টেলিযোগাযোগ খাতের মূলধন কমেছে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত হারিয়েছে ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মূলধন। এ সময়ে ডিএসইর ১৯ খাতের মধ্যে ১৬টিরই পতন ঘটে।   

ডিএসইর খাতওয়ারি বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের ১৮ জুন পর্যন্ত ডিএসইর দরপতনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টেলিযোগাযোগ, সেবা ও সিমেন্ট খাত। বিপরীতে বিবিধ ও জ্বালানি খাতের শেয়ার দর বেড়েছে। চলতি বছর বিবিধ খাতের বাজার মূলধন বেড়েছে ২৩ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্য খাতের মূলধন অপরিবর্তিত রয়েছে।

চলতি বছর ব্যাংক খাত হারিয়েছে ২৩ শতাংশ দর। যদিও আগের বছর এ খাতটিতে প্রায় ৬০ শতাংশ মূলধনি মুনাফা পেয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা। দর হ্রাসের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সেবা ও রিয়েল এস্টেট খাত। এ খাতটি ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ মূলধন হারিয়েছে। চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতটি ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ দর হারিয়েছে।

চলতি বছর গ্রামীণফোনের শেয়ার থেকে বিদেশিরা বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পুরো টেলিযোগাযোগ ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ দর হারিয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ ৫১০ টাকায় লেনদেন হয়েছিল গ্রামীণফোনের শেয়ার। তবে এরপরই বিদেশিরা বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এ শেয়ার দর এখন ৩৭৮ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে এসেছে। এ সময়ে এ কোম্পানির দর কমেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।

কাঁচামাল ও জ্বালানি তেলের দরবৃদ্ধির কারণে গত দেড় বছর ধরেই মুনাফা সঙ্কটে পড়েছে দেশের সিমেন্ট শিল্প। মুনাফা কমে যাওয়ায় শেয়ার দরও কমে গেছে। ২০১৭ সালের অধিকাংশ খাতের মূলধন বৃদ্ধি পেলেও এ খাতটি প্রায় ১০ শতাংশ দর হারায়। চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত সিমেন্ট খাত ১৭ দশমিক ২ শতাংশ বাজার মূলধন হারিয়েছে। এর বাইরে তথ্যপ্রযুক্তি খাত ১২ দশমিক ৩ শতাংশ, পাট ৯ দশমিক ৩ শতাংশ, সাধারণ বীমা ৯ শতাংশ, সিরামিক ৮ দশমিক ১ শতাংশ, প্রকৌশল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ ও ভ্রমণ খাত ৭ দশমিক ৩ শতাংশ দর হারিয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads