দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন হওয়ায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি)। গত ১৭ জুলাই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইসিবির দুই হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দেয়, যার বড় অংশই পুঁজিবাজার বিনিয়োগে ব্যবহার করা হবে। এর বাইরে বন্ডের অর্থে দুটি বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডও ছাড়বে আইসিবি।
গত মঙ্গলবার বিএসইসির নিয়মিত সভায় বন্ড ইস্যু করে আইসিবিকে দুই হাজার কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই বন্ডের অর্থে পুঁজিবাজার, মিউচুয়াল ফান্ড ও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
সংস্থার মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, কমিশন সভায় এ বন্ডের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর সুদহার হবে নির্দিষ্ট (ফিক্সড) এবং মেয়াদকাল সাত বছর। অন্যান্য বন্ডের মতো এটিতেও শুধু প্রাতিষ্ঠানিক এবং উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিরা বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন।
বিএসইসি জানায়, এ বন্ড বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ মূলত প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে আইসিবি। পাশাপাশি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড ও এনআরবি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফান্ড নামের দুটি তহবিল গঠনে এর উদ্যোক্তা হিসেবে বিনিয়োগ করবে। এ ছাড়া অবকাঠামোসহ সরকারের প্রাধিকারভুক্ত প্রকল্প এবং পিপিপিতে বিনিয়োগ করবে।
আইসিবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বন্ড বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থের বড় অংশই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হবে। এখানে প্রাইমারি পুঁজিবাজারে (আইপিও) বিনিয়োগের কথা বলা হলেও এর সিংহভাগই বিনিয়োগ হবে সেকেন্ডারি বাজারে। সঙ্কটের সময়ে নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে পুঁজিবাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে রাষ্ট্রায়ত্ত এ সংস্থার আর্থিক সক্ষমতা অনেকটা বাড়াবে বলেও জানান তিনি।
বিএসইসির অনুমোদন পাওয়া আইসিবির এ বন্ডটির অভিহিত মূল্য হবে এক কোটি টাকা। বন্ডটি বিভিন্ন ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট হাউস ও উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারীদেরকে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে থাকছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। এ ছাড়া বন্ডটির লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও রুটস ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড কাজ করবে।