সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সম্পন্ন করা আমান কটন ফাইবারসের লেনদেন আগামী ৬ আগস্ট সোমবার শুরু হবে। ওই দিন দুই স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটি ‘এন’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু করবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২৬ জুলাই আইপিও লটারিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে। এর আগে আইপিও সম্পন্ন করা আমান কটন ফাইবারসকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় ডিএসই।
গত ৩ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত কোম্পানির আইপিও আবেদন জমা নেওয়া হয়। পরে ৪ জুলাই রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কোম্পানির আইপিও লটারি হয়। এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিএসইসি কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়। আর কোম্পানিটি গত ৩ এপ্রিল বিএসইসি থেকে সম্মতিপত্র পায়।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বিডিংয়ের মাধ্যমে আমান কটন ফাইবারসের শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হয়েছিল ৪০ টাকা। সেই দামের ১০ শতাংশ কমে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৩৬ টাকা দরে শেয়ার কিনতে পারবেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করতেই কমিশন এই দাম অনুমোদন করেছে।
গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির আইপিওর অংশ হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য নিলামের অনুমতি দেয় বিএসইসি।
কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৮০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থের একটি বড় অংশ দিয়ে কারখানায় আধুনিক মেশিনারি স্থাপন করা হবে। এতে ব্যয় করা হবে ৪৯ কোটি ৩৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
কোম্পানির তথ্য কণিকা থেকে জানা যায়, আইপিওতে উত্তোলিত অর্থ থেকে ১৭ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয় হবে ঋণ পরিশোধে। ওয়ার্কিং মূলধন হিসেবে ব্যয় করা হবে ১০ কোটি টাকা। আর আইপিওতে ব্যয় হবে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা।
৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির স্থায়ী সম্পদের পুনর্মূল্যায়নসহ নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ৩৫ টাকা ৬৩ পয়সা। বিগত ৫ বছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি গড় আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৪৯ পয়সা।
আমান কটন ফাইবারস লিমিটেড সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি কটন, পলিয়েস্টার, সিল্কসহ অন্য ফাইবার উৎপাদন করে। আমান কটন ফাইবারস লিমিটেডকে আইপিওতে আনতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিস্টার অব দ্য ইস্যু হিসেবে দায়িত্বে আছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।