• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
করসেবা সহজ করতে ১১ উদ্যোগ

সংগৃহীত ছবি

পুঁজিবাজার

করসেবা সহজ করতে ১১ উদ্যোগ

  • বাসস
  • প্রকাশিত ০৫ নভেম্বর ২০১৮

করদাতাদের আরো সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী খরচে সেবা প্রদানের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১১টি ডিজিটাল উদ্ভাবনী পদ্ধতি চালু করেছে। সম্প্রতি চালু হওয়া এ উদ্যোগের ফলে দেশের জনগণ, করদাতা ও কর কর্মকর্তা জরুরি কার্যক্রম নিঃখরচায় দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করতে পারছেন। একই সঙ্গে ব্যাক-অফিসের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

করদাতা এবং সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের এই উদ্যোগ সম্পর্কে ধারণা দিতে গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দিনব্যাপী উদ্ভাবনী মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় এনবিআরের আয়কর বিভাগের ৫টি, শুল্ক বিভাগের ৩ ও মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) ২টি এবং সঞ্চয় অধিদফতরের একটি উদ্যোগ মিলে মোট ১১টি উদ্যোগ প্রদর্শিত হয়।

এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, রূপকল্প-২০২১-এর মাধ্যমে সরকারের অধিকাংশ সেবা এবং ব্যাক-অফিস কার্যাবলি ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। জনগণের সঙ্গে এনবিআরের কার্যক্রম যেহেতু নিবিড়ভাবে জড়িত, তাই আরো সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী খরচে সেবা প্রদানের জন্য উদ্ভাবনী পদ্ধতি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, উদ্যোগগুলো শুধু সংশ্লিষ্ট দফতরের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সরকারের অন্যান্য দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করানো এবং করদাতাদের এ বিষয়ে ধারণা দিতে মেলার আয়োজন করা হয়।

১১টি উদ্যোগ হলো- আয়কর বিভাগের ব্যাক সার্চ টুলস, অডিট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার, অ্যাডভান্স ট্যাক্স রিমাইন্ডার টুলস, ডিমান্ড অ্যান্ড কালেকশন টুলস, এক্সেল শিটের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন প্রসেসিং। শুল্ক বিভাগের বেনাপাস সফটওয়্যার, আমদানি-রফতানি পণ্যের শুল্ক কর আদায়ে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং ইলেকট্রনিক এক্সপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্ট। ভ্যাট বিভাগের-এলটিইউ-ভ্যাট মোবাইল অ্যাপস এবং ‘ভ্যাট ইস্ট’। জাতীয় সঞ্চয় অধিফতরের ই-সেভিংস সফটওয়্যার।

এনবিআরের সদস্য (আয়কর) এবং সংস্থার প্রধান উদ্ভাবনী কর্মকর্তা কানন কুমার রায় বলেন, আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাটের উদ্যোগগুলের ফলে করদাতা মোবাইল অ্যাপ অথবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সহজে রিটার্ন জমা থেকে শুরু করে আয়কর, শুল্ক ও ভ্যাট জমা দিতে পারছেন। পাশাপাশি কর সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি দ্রুত পেয়ে যাচ্ছেন। কিংবা কর সংশ্লিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে দেশের যেকোনো প্রান্তে বসে ব্যাক অফিসকে জানাতে পারছেন।

এ ছাড়া সঞ্চয় অধিফতরের ই-সেভিংস সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রস্তুত পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে বিনিয়োগের অর্থ অথবা মুনাফা পরিশোধ করা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads