বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিচ্ছে না এবং উৎপাদনেও নেই- দুর্বল এমন ২০টি কোম্পানির বর্তমান অবস্থা যাচাই করে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পরিদর্শন করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডিএসইর বোর্ড সভায় সম্প্রতি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ২০ কোম্পানি পরিদর্শনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে শিগগিরই অনুমোদন চাওয়া হবে।
যে ২০ কোম্পানি পরিদর্শনের জন্য অনুমতি চাওয়া হবে সেগুলো হলো- আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, শ্যামপুর সুগার মিলস, জিলবাংলা সুগার, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, শাইনপুকুর সিরামিকস, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ ওয়েলডিং ইলেক্ট্রোডস, এমারেল্ড অয়েল, বাংলাদেশ সার্ভিসেস, বিচ হ্যাচারি, ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং, হাক্কানি পাল্প, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, তাল্লু স্পিনিং, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, সিএন্ডএ টেক্সটাইল এবং তুংহাই নিটিং। কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ৫ বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিচ্ছে না। এর মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ। কোম্পানিগুলো লোকসানে চলছে। তাই তাদের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পর্যালোচনা করতে পরিদর্শন করা হবে। এদের কারখানা, অফিস, আর্থিক হিসাব পর্যালোচনা করা হবে বলে জানায় ডিএসই সূত্র।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিএসইর বোর্ড সভায় লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থতা এবং উৎপাদনে না থাকায় ৪ কোম্পানিকে তালিকাচ্যুতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই। কোম্পানিগুলো হলো- মেঘনা পিইটি, মেঘনা কনডেন্স মিল্ক, ইমাম বাটন এবং সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিএসইসির কাছে আবেদনও করা হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিগুলো পরিদর্শন শেষে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই। এ ছাড়া দুলামিয়া কটন, জুট স্পিনার্স এবং সমতা লেদারের পরিদর্শন কার্যক্রম শেষ। এ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিএসইর কার্যক্রম চলছে।
এর আগে বছরের পর বছর লভ্যাংশ না দেওয়ায় এবং উৎপাদন বন্ধ থাকায় রহিমা ফুড এবং মডার্ন ডাইংকে তালিকাচ্যুত করে ডিএসই।