• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
১১ হাজার কোটি টাকার মূলধন হারাল ডিএসই

সংগৃহীত ছবি

পুঁজিবাজার

১১ হাজার কোটি টাকার মূলধন হারাল ডিএসই

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ জুলাই ২০১৯

গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা কমেছে। বাজার মূলধনের পাশাপাশি বাজারটির সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়। সেই সঙ্গে কমে লেনদেনের পরিমাণ।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা।

বাজার মূলধনের বড় পতনের পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ৬০টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ২৮১টির। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির।

এদিকে মোটা অঙ্কের বাজার মূলধন হারানোর পাশাপাশি সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের বড় পতন হয়। এ সূচকটি কমেছে ১৫৮ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৪৯ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৭ শতাংশ।

অপর দুটি মূল্যসূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমে ৫২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১৪ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৭ শতাংশ।

আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমে ৩৮ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১২ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ।

এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয় ৪২২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমে ৬৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ১১২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৯৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ১৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট লেনদেন বাড়ার কারণ হলো, গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ব্যাংক হলিডের জন্য এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়েছে।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৩ দশমিক ২৫ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং ১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ৭৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা রানার অটোমোবাইলের শেয়ার লেনদেন হয় ৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। ৫৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- জেএমআই সিরিঞ্জ, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, মুন্নু সিরামিক, গ্রামীণফোন এবং রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads