• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
মুনাফার ৫৫ শতাংশের ভাগ দেবে না পদ্মা অয়েল

ফাইল ছবি

পুঁজিবাজার

মুনাফার ৫৫ শতাংশের ভাগ দেবে না পদ্মা অয়েল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ নভেম্বর ২০১৯

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পদ্মা অয়েল বড় ধরনের মুনাফা করলেও তার পুরোটা ভাগ পাবেন না শেয়ারহোল্ডাররা। কারণ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ মুনাফার ৪৫ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থাৎ মুনাফার ৫৫ শতাংশ থেকে বঞ্চিত হবেন শেয়ারহোল্ডাররা।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ হিসেবে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে নগদ ১৩ টাকা পাবেন।

১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া পদ্মা অয়েল নিয়মিতই শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। তবে ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিত ১০০ শতাংশ বা তার বেশি নগদ লভ্যাংশ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৮ সালে কোম্পানিটি ১৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগের বছর ২০১৭ সালে ১১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পায় শেয়ারহোল্ডাররা। আর ২০১৬ ও ১০১৫ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বড় ধরনের নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও কোম্পানিটির মুনাফার বড় অংশই রিজার্ভে রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রতিটি শেয়ারে ২৯ টাকা ৭ পয়সা হারে কোম্পানিটির মোট মুনাফা হয়েছে ২৮৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর মধ্য থেকে ১২৭ কোট ৭০ লাখ টাকা লভ্যাংশ হিসেবে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ মুনাফার ৫৫ শতাংশ থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন শেয়ারহোল্ডাররা।

লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী বছরের ১৮ জানুয়ারি। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ নভেম্বর।

লভ্যাংশের পাশাপাশি কোম্পানিতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৭ টাকা ৪৯ পয়সা, যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ৭ টাকা।

এদিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ১৪২ টাকা ৮৫ পয়সা। ক্যাশ ফ্লোর তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৪৬ পয়সা, যা আগের বছরে একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ১৭ টাকা ৯৪ পয়সা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads