• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বিশেষ তহবিলে কেনা যাবে ১৮৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার

ফাইল ছবি

পুঁজিবাজার

বিশেষ তহবিলে কেনা যাবে ১৮৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

শেয়ারবাজারের অব্যাহত পতনের মধ্যে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কিছু শর্তসাপেক্ষ ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব উৎস অথবা ট্রেজারি বিল বন্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৫ শতাংশ সুদে এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংকগুলো, যা পরিশোধের সময় পাবে পাঁচ বছর। আর ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ দিতে পারবে।

তবে এই বিশেষ তহবিলের টাকা দিয়ে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির শেয়ার কেনা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব কোম্পানি শেষ তিন বছরে কমপক্ষে ১০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে বিশেষ তহবিলের দিয়ে শুধু ওই কোম্পানির শেয়ার কেনা যাবে।

তিন বছরের মধ্যে এক বছরও যদি কোনো কোম্পানি ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেয় তাহলে ওই কোম্পানির শেয়ার কেনা যাবে না।

এছাড়া বিনিয়োগযোগ্য শেয়ারের জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ার ৭০ শতাংশের বেশি ফ্রি ফ্লোট হবে না। অর্থাৎ কোনো কোম্পানির ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের সংখ্যা মোট শেয়ারের ৭০ শতাংশের বেশি হলে বিশেষ তহবিলের অর্থ দিয়ে ওই শেয়ার কেনা যাবে না।

এই শর্তের ফলে বিশেষ তহবিলের টাকা দিয়ে তালিকাভুক্ত ১৮৭টি কোম্পানির শেয়ার কেনার সুযোগ থাকছে। এর মধ্যে ব্যাংক খাতের ২৭টি, আর্থিকের ১৩টি, প্রকৌশলের ২৩টি, খাদ্যের ৭টি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ১৪টি, বস্ত্রের ২৩টি, ওষুধের ১৯টি, সেবা ও আবাসনের ৪টি, সিমেন্টের ৬টি, আইটির ৩টি, চামড়ার ৪টি, সিরামিকের ৩টি, বীমার ৩৪টি, বিবিধ ৪টি এবং টেলিযোগাযোগ, ভ্রমণ ও পাটের একটি করে প্রতিষ্ঠানে রয়েছে।

ব্যাংক খাত

সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।

আর্থিক খাত

আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স, উত্তরা ফাইন্যান্স, ইসলামিক ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, বে লিজিং, জিএসপি ফাইন্যান্স, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং এবং ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স।

প্রকৌশল খাত

আফতাব অটোমোবাইলস, বাংলাদেশ ল্যাম্প, ইস্টার্ন কেব্লস, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, সিঙ্গার বাংলাদেশ, কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল টিউবস, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, রংপুর ফাউন্ড্রি, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল, ন্যাশনাল পলিমার, বিএসআরএম স্টিল, নাভানা সিএনজি, জিপিএইচ ইস্পাত, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ইফাদ অটোস, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং, কেডিএস এক্সেসরিজ, বিবিএস কেবলস, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রেড এবং নাহি আলুমিনিয়াম।

খাদ্য খাত

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, এপেক্স ফুড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, জেমিনি সি ফুড, ন্যাশনাল টি, এগ্রিকালচার মার্কেটিং এবং গোল্ডেন হার্ভেস্ট।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত

লিন্ডে বাংলাদেশ, পদ্মা অয়েল, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট, সামিট পাওয়ার, ঢাকা ইলেকট্রিক, পাওয়ার গ্রিড, যমুনা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, তিতাস গ্যাস, খুলনা পাওয়ার, এমজেএল বাংলাদেশে, শাহজিবাজার পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার এবং ডরিন পাওয়ার।

বস্ত্র খাত

স্টাইল ক্রাফট, রহিম টেক্সটাইল, সায়হাম টেক্সটাইল, দেশ গার্মেন্টস, এপেক্স স্পিনিং, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, এইচআর টেক্সটাইল, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, স্কয়ার টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, সায়হাম কটন, এনভয় টেক্সটাইল, আর্গন ডেনিমস, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, মতিন স্পিনিং, হা-ওয়েল টেক্সটাইলস, ফারইস্ট নিটিং, হামিদ ফেব্রিকস, শাশা ডেনিমস, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ড্রাগন সোয়েটার, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং নূরানী ডাইং।

ওষুধ ও রসায়ন খাত

এমবি ফার্মাসিটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্লাস্কস্মিথক্লাইন, এসিআই লিমিটেড, রেনেটা লিমিটেড, কোহিনূর কেমিক্যাল, ইবনে সিনা, ওয়াটা কেমিক্যাল, লিবরা ইনফিউশন, ওরিয়ন ইনফিউশন, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস, এসিআই ফর্মুলেশন, ম্যারিকো বাংলাদেশ, ওরিয়ন ফার্মা, জেএমআই সিরিঞ্জ, এএফসি এগ্রো, ফার কেমিক্যাল এবং একমি ল্যাবরেটরিজ।

বীমা খাত

বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স, গ্রিন ডেল্টা, ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স, ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স, ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স, রূপালী ইনস্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল, ডেল্টা লাইফ, প্রগতি ইন্সুরেন্স, সন্ধানী লাইফ, প্রাইম ইনস্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্স, পপুলার লাইফ, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ, মেঘনা লাইফ, নিটল ইনস্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ, প্রাইম ইসলামী লাইফ, তাকাফুল ইনস্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্স, নর্দান জেনারেল, রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স, এশিয়া ইনস্যুরেন্স, রূপালী লাইফ, ইসলামী ইনস্যুরেন্স, প্রভাতী ইনস্যুরেন্স, ঢাকা ইনস্যুরেন্স এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স।

সেবা ও আবাসন খাত

শমরিতা হসপিটাল, ইস্টার্ন হাউজিং, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট এবং সাইফ পাওয়ারটেক।

সিমেন্ট খাত

হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, কনফিডেন্স সিমেন্ট, মেঘনা সিমেন্ট, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, এমআই সিমেন্ট এবং প্রিমিয়ার সিমেন্ট।

আইটি খাত

ড্যাফোডিল কম্পিউটার, আমরা টেকনোলজি এবং আইটি কনসালটেন্ট।

চামড়া খাত

এপেক্স ট্যানারি, বাটা সু, এপেক্স ফুটওয়্যার এবং ফরচুন সুজ।

সিরামিক খাত

মুন্নু সিরামিক, ফু-ওয়াং সিরামিক এবং আর এ কে সিরামিক।

বিবিধ

আরামিট লিমিটেড, জিকিউ বলপেন, বার্জার পেইন্ট এবং আমান ফিড।

এছাড়া পাট খাতের সোনালী আঁশ, টেলিযোগাযোগের গ্রামীণফোন এবং ভ্রমণের ইউনিক হোটেলের শেয়ার বিশেষ তহবিলের টাকা দিয়ে কেনা যাবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads