• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
৬১ বিও হিসাব তলব করেছে বিএসইসি

সংগৃহীত ছবি

পুঁজিবাজার

৬১ বিও হিসাব তলব করেছে বিএসইসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ মার্চ ২০২১

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রিং সাইনের কেলেঙ্কারি তদন্তে ৬১টি বিও হিসাবের তথ্য তলব করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এসব বিও হিসাবের তথ্য চেয়ে সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) চিঠি দেওয়া হয়েছে। তথ্য চাওয়া ৬১টি বিও হিসাবের মধ্যে রয়েছে-ইকোনো বার্টন অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজ- বিও হিসাব নম্বর ১২০৫০০০০৫৮৫৮৮৪২৫, গ্রী মোহন রায় ১২০৩৬১০০৬৭৯২০১৫৬, মো. আবদুল কাইয়ুম মামুন ২০৫৮৮০০৬৮০৫০৮২৬, সাজেদুল মাবুদ খাবির ১২০৫২০০০৪৮৪৯৫৩৪১, মো. আবুল খায়ের মানিক ১২০৫২০০০৪৮৪৯৫৩০৯, নাজমুল শাখাওয়াত হোসেন ১২০৩৬১০০৬১৪৯৩২৪৩, রেজওয়ানা রহমান রিমি ১২০৩০৬০০৫৩৮১১৯৭০, নাজনীন আক্তার বানু ১২০৩০৬০০৫৩৮১১৫৯০।

আরো রয়েছে, হোসনে আরা বেগম ১২০৫২০০০৬৬৪৮১৮৮২, মো. আবদুল কুদ্দুস আমিন ১২০৫০০০০৫৩৭৭৪৯৬৬, ইমরান রহমান ১৬০৬০৬০০৬৮০০৬৮৩৫, লুৎফুন নেসা বেগম ১২০১৯৬০০৫৩৮১১৯৮৯, মো. আরিফ বিল্লাহ ১২০৫২০০০৪৮৪৯৫৩১৭, আবদুল মান্নান ১২০৫২০০০৬১৪৯৩১৬১, মোহাম্মদ আরশাদুল আমিন ভুইয়া ১২০৫২০০০৬১৫১৮২৫৯, মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ১২০৩৬১০০৬১৪৯২১৭৩, মো. আবুল কাশেম ১২০৫২০০০৬১৪৯২২৪৮, মো. মাসুদ হোসেন রানা ১২০৩৬১০০৬১৪৯২২৬৪, শেখ আতাউল হক ১২০৫২০০০৬১৪৯৩৬০৬, মো. জান্নাতুল ইসলাম ১২০৫২০০০৬১৪৯৩৬১৪, মো, আবদুর রাজ্জাক ১২০৫২০০০৬১৪৯৩৬২২, মো. আতিকুর রহমান ১২০৫২০০০৬১৪৯৩৬৩০, ফিরোজা বেগম ১২০৩৬১০০৬১৫১৮১৪১, জাকিয়া খোন্দকার ১২০৩৬১০০৬১৪৯২২৩১, মনিরা খোন্দকার ১২০৩৬১০০৬১৪৯২২১৩, জাহাধা খোন্দকার ১২০৫২০০০৬২১৪৯৮২২, সৈয়দা শামসুন্নাহার ১৬০৬০৬০০৬৮০০৬৩৯৯, মোহাম্মদ আনোয়ার জাহিদ ভুইয়া ১২০৫২০০০৪৮৪৬৮৫১৭, সংকর কুমার পাল ১২০৩৬১০০৬৬০৩১২৩৬, মিস উম্মে সালমা ১২০৩৬১০০৬৫২৮১৬৪২, ইউনিভার্স নিটিং গার্মেন্টস লিমিটেড ১২০১৬৩০০৬৬৩৭৫১০০, মো. মোস্তফা হাসান ১২০১৮৩০০৬২৮৯৭৫৪৪, মো. মিজানুর রহমান ১২০৩৬১০০৬৬৩৬৫৯৭৩, মো. হুমায়ূন কবির ১২০৫২০০০৬৬৩৫০১২১, মো. আরিফ হোসেন ১২০৪৫৭০০৬৩৬৪৪৭৫৫। এ ছাড়া আছে, মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির ১২০৩৬১০০৬৬৩৮২৪৯৫, মো. আনিসুর রহমান ১২০৩৬১০০৬২০০৮২২০, সুদীপ বনিক ১২০১৮৩০০৫৮৪৬৯৬৫৪, মো. কবির উদ্দিন আহমেদ ১২০৪৭৩০০৫৮৯৭০১১০, এবিএম তানভীর হোসেন ১২০২৮৩০০৫২৯১১৭৪১, মো. ফয়সাল আহমেদ ১২০৩০৪০০৫৮১৭৫৮১৮, রুহুল কুদ্দুস সৈকত ১২০২৮৩০০৫২৮৬৪০২৬, আসিফ ইকবাল চৌধুরী ১৬০৫৫৫০০৫৯৭৫৮৬৭১, মো. সারোয়ার হোসেন ১৬০৫৫৫০০৬১৬৭৪২৬৬, মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী ১২০৫১৫০০৫৫১৫০৩৮৭, মিসেস তাসলিমা বেগম ১২০৩৬১০০৪১৩৬৯৯৮৩, চুমকি খাতুন ১৬০৬০৬০০৬৮০০৭১৪৪, মো. তানজিল ১২০১৫৯০০৬৫৮৮৪৭৩৯, নিয়াজ আল ফুয়াদ ১২০১৮৩০০৬৬৪২৭৬৭১, পরীক্ষিত প্রসাদী ১২০১৮৩০০৬৬৪১৭০৯৪, পানু বেগম ১২০১৭৩০০৬৮৬৮১৮২৩৫১, দিল আফরোজ ১২০১৮৩০০৬৮০৭০৯৩৮, মো. সৈয়দ ১২০১৮৩০০৬৬৪১৭০০০, গোলাম আজম চৌধুরী ১২০৫২০০০৬২১৪৯৮১৪, এ কে এম আতিকুর রহমান ১২০৩৬১০০৬৫৯৩৮৩১১, মো. মাহফুজুল ইসলাম ১২০২১৪০০১৫০৭০৬৭৩, পারভীন আক্তার ১২০১৫৮০০৬৬৪৫০১৮২, গোপাল চন্দ্র বসাক ১২০৩০৯০০২৯৭৭৮০২৮, মিসেস শাহনাজ পারভিন ১৬০৬০৬০০৬৮০০৬৯৬৯, এবিএম গোলাম মোস্তফা ১২০৪৭৮০০৪০১৪৩০৫১ এবং লার্ক টেক্সটাইল লিমিটেড ১২০১৬৩০০৬৬৩৭৫৭১৩।

২০১৮ সালের ১২ মার্চ পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন রিং সাইনকে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমোদন দেয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়ে প্রতিষ্ঠানটি যন্ত্রপাতি ও কলকব্জা ক্রয়, ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করতে শেয়ারবাজারে ১৫ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। তবে আইপিও আবেদন গ্রহণের পর ডিএসইর পরপর দুটি পর্ষদ সভাতে রিং সাইন টেক্সটাইলের আইপিও অনুমোদন পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ডিএসইর পক্ষ থেকে বলা হয়, অস্তিত্বহীন ইউনিভার্স নিটিং কোম্পানির নামে রিং সাইন টেক্সটাইলের প্রায় ২৫ কোটি টাকার শেয়ার রয়েছে। রিং সাইন টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইউনিভার্স নিটিংয়ের চেয়ারম্যান পদে আছেন, যা অনৈতিক। এ বিষয়ে ডিএসই থেকে বিএসইসিতে একটি অভিযোগও দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কোম্পানিটির তালিকাভুক্তিও আটকে দেয় ডিএসই। কিন্তু ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর কমিশন সভা করে বিএসইসি জানায়, বিএসইসির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে রিং সাইন টেক্সটাইল নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য মিথ্যা। ইউনিভার্স নিটিং গার্মেন্টসের চেয়ারম্যান সুং ওয়ে মিন রিং সাইন টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। বিষয়টি প্রসপেক্টাসের ১৯৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া ইউনিভার্স নিটিং কোম্পানির নিয়মিত পরিচালনায় সক্রিয় থাকার প্রমাণাদি কমিশনে পাঠায় রিং সাইন। এতে কোনো আইন লঙ্ঘন হয়নি। যাতে বিষয়টি সভায় ডিসক্লোজার ভিত্তিতে সমাধান হয়েছে। তবে শেয়ারবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে রিং সাইন টেক্সটাইলের এমডির স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইউনিভার্স নিটিং গার্মেন্টস কর্তৃক রিং সাইনের ধারণ করা শেয়ারে ১ বছরের পরিবর্তে ৩ বছর লক-ইনের শর্তারোপের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads