• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯

নির্মানাধীন পদ্মা সেতু

সংরক্ষিত ছবি

যোগাযোগ

যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন

  • ফিচার ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ মে ২০১৮

যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নকে কোনো দেশের সার্বিক উন্নয়নের চাবিকাঠি বলা হয়। যোগাযোগ প্রতিবন্ধকতা উন্নয়নকে শুধু ব্যাহতই করে না, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ সব খাতে দেখা দেয় মন্থরগতি। বর্তমান সরকার তাই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেই সবেচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।

গত আট বছরে বাংলাদেশের সড়ক, রেল, লঞ্চ ও আকাশপথের যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। উন্নত দেশের মতো বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে যোগাযোগ খাত। বর্তমানে এ খাতে ১৫টিরও বেশি বৃহৎ প্রকল্প চলমান রয়েছে।

সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ স্থাপনে পদ্মা সেতু নির্মাণ। প্রকল্পটির ৬০ শতাংশেরও বেশি কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে।

চলছে বিভাগ, জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও উন্নয়ন প্রকল্প। ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোরলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ ফোরলেন, কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণ, হজরত শাহজালাল (র.) বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, উত্তরা থেকে আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার, রংপুর ফোরলেন, কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ, ইস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট এবং পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের মতো বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কয়েকটি প্রকল্পের কাজ সম্পন্নও হয়েছে।

বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প চালু করেছে। পত্রিকার খবর, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ লাকসাম থেকে চিনকীর আস্তানা পর্যন্ত ডবল লাইনে উন্নীত করা হয়েছে। টঙ্গী থেকে ভৈরব পর্যন্ত রেলপথকে ডবল লাইনে উন্নয়ন করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভৈরবে মেঘনা নদীর ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে দ্বিতীয় রেলসেতু। পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। রেল যোগাযোগে সবচেয়ে আলোচিত প্রকল্পটি এখন মেট্রোরেল। যা রাজধানী ঢাকাকে যানজটমুক্ত করবে এবং নগরবাসীর জীবনযাত্রাকে করবে নির্বিঘ্ন। ২০১৯ সালের মধ্যেই মেট্রোরেলের একাংশের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্পের আওতায় ঢাকা মেট্রোরেল লাইন-৬ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উত্তরা থেকে স্বল্প সময়ে রাজধানীর মতিঝিলে পৌঁছা যাবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল লাইনে স্টেশন থাকবে ১৬টি। প্রতি চার মিনিট পরপর ১ হাজার ৮০০ যাত্রী নিয়ে চলবে এক-একটি ট্রেন। বিশেষ এই ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে। ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৪০ মিনিটের মতো। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা। বাকি ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকার জোগান দিচ্ছে সরকার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads