• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
২০২০ সালে অপারেশনে  যাবে বে টার্মিনাল

বে টার্মিনাল ও পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল

সংগৃহতি ছবি

যোগাযোগ

চট্টগ্রামে শাজাহান খান

২০২০ সালে অপারেশনে যাবে বে টার্মিনাল

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৮ মে ২০১৮

বে টার্মিনাল ও পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল ২০২০ সালে অপারেশনে যাবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। গতকাল বৃহস্পতিবার নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৫ নম্বর জেটিতে বন্দরের জন্য কেনা রেল মাউন্টেন্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ৯ বছর আগে চট্টগ্রাম ছিল বিশ্বের ৯৮তম বন্দর। প্রতিবছর ৩ পয়েন্ট করে এগিয়ে এসে এই বন্দরের অবস্থান এখন ৭১। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর গত ৯ বছরে ২৮৬টি ইক্যুপমেন্ট বন্দরের জন্য কেনা হয়েছে। চট্টগ্রামের বে টার্মিনাল ও পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল ২০২০ সালে অপারেশনে যাবে। এতে দেশের অর্থনীতির চেহারাই বদলে যাবে। বিদ্যুতে পরিচালিত আরএমজি স্থাপিত হলে বায়ুদূষণ বন্ধ হবে। এটি একটি গ্রিন পোর্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

দেশের উন্নয়ন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দেশপ্রেমের ওপর নির্ভর করে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছেন। কিন্তু বোমাবাজি করে, রাস্তা, ব্রিজ কেটে দিয়ে দেশকে অকার্যকর করতে চেয়েছিল পাকিস্তানের দোসররা। এখন ষড়যন্ত্রকারীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ছাত্রদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। তবে স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানরা সরকারি চাকরি পাবে না। যাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করতে পারে না।

এর আগে মন্ত্রী বন্দরের জন্য ৫৫ কোটি ৮০ লাখ টাকায় কেনা চীনের চারটি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন (কলমার), ১৭ কোটি ৯০ লাখ টাকায় কেনা আরব আমিরাতের দুটি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন (টিজিপিসি), ২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় চীন থেকে কেনা একটি রেল মাউন্টেড ইয়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন (এইচডিএইচএম), ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকায় জার্মানি থেকে কেনা একটি লগ হ্যান্ডলার ও ইতালি থেকে ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকায় কেনা দুটি মোবাইল ক্রেনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আজিজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চিটাগং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম, কমোডর খন্দকার আকতার হোসেন, কমোডর শাহীন রহমান, কামরুল আমিন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তারিকুল ইসলাম, বন্দর সিবিএ সভাপতি আবুল মনসুর আহমদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads