• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
শতবর্ষ অপেক্ষার পর হুইসেল বাজবে পাবনায়

নবনির্মিত পাবনা রেলস্টেশন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

শতবর্ষ অপেক্ষার পর হুইসেল বাজবে পাবনায়

শনিবার রেল যোগাযোগ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

  • কানু সান্যাল, পাবনা  
  • প্রকাশিত ১১ জুলাই ২০১৮

অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। শত বছর অপেক্ষার পর পাবনায় বাজতে চলেছে রেলের সেই কাঙ্ক্ষিত হুইসেল। চালু হচ্ছে পাবনাবাসীর স্বপ্নের রেল যোগাযোগ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন। এ নিয়ে পাবনায় শুরু হয়েছে রীতিমতো উৎসবের আমেজ।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী ১৪ জুলাই পাবনার পুলিশ লাইন মাঠে জনসভার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে পাবনায় রেলপথ ও ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন। তিনি আরো জানান, ঈশ্বরদীর মাঝগ্রাম হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত মোট ৭৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫ কিলোমিটার রেলপথের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেতু, কালভার্ট, রেলগেট-রেলক্রসিং, ট্রেন চলাচলের সিগন্যাল- এসবের কাজও শেষ। বাকি ৫৩ কিলোমিটার দ্বিতীয় ধাপে শেষ হবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী-২ আরিফ আহম্মেদ জানান, উদ্বোধনের পর ট্রেনটি পাবনা এক্সপ্রেস নামে চলবে। উদ্বোধনের দিন ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি নিয়ে পাবনা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত চলাচল করবে ট্রেনটি। পরবর্তীকালে পাবনা-রাজশাহীর মধ্যে চলাচল করবে। প্রতিদিন ঈশ্বরদী-পাবনা-রাজশাহী-পাবনা-ঈশ্বরদীতে ৪২৩ যাত্রী ধারণ ক্ষমতার এ ট্রেনে থাকবে এসি স্নিগ্ধা, চেয়ার কোচ, নন-এসি ও শোভন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পাবনার পাকশী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯১৪ সালে পদ্মা নদীর ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ চালু হলে সেই সময়ে দাবি ওঠে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা পর্যন্ত একটি লিঙ্ক রোড রেললাইনের। সে সময় ব্রিটিশরা এই দাবি পূরণে প্রতিশ্রুতিও দেন। তবে সেই প্রতিশ্রুতি আর পরে বাস্তবায়ন হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের এ দাবি বাস্তবায়নে ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেল প্রকল্প হাতে নেয়। ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে নগরবাড়ী পর্যন্ত রেলপথের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে শহরের টাউন হল মুক্তমঞ্চ মাঠে এক ভিডিও কনফারেন্সে শেখ হাসিনা পাবনার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এই রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এই রেলপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।

২০১০ সালের ৫ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৯৮২ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads