• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
চাঁদপুর-কুমিল্লা-লক্ষ্মীপুরে সড়ক সংস্কার কাজে ধীরগতি

চাঁদপুর-কুমিল্লা-লক্ষ্মীপুরে আঞ্চলিক মহাসড়ক সংস্কার কাজের ধীর গতির কারণে রাস্তায় পানি জমে প্রতিদিনেই ঘটছে দূর্ঘটনা । ছবিটি আজ দুপুর চাঁদপুর ওয়ারলেস মোড় থেকে তোলা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

বর্ষায় বেড়েছে দূর্ভোগ

চাঁদপুর-কুমিল্লা-লক্ষ্মীপুরে সড়ক সংস্কার কাজে ধীরগতি

  • মহিউদ্দিন আল আজাদ, চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ জুলাই ২০১৮

চাঁদপুর-কুমিল্লা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সড়ক থেকে জাতীয় সড়কে উন্নীত করতে রাস্তার দু’পাশ প্রশস্ত কাজে চরম ধীরগতি চলছে। যার ফলে প্রায় এক বছর ধরে সড়কে যানবাহন চলাচলে যাত্রীদের সীমাহিন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দূর্ভোগের আরো মাত্রা যোগ হয়েছে চলতি বর্ষা মৌসুমের কারণে।

গত এক সপ্তাহের বৃষ্টির কারণে সড়কের পাশে পানি জমে আছে। বিষয়টি মোটেও আমলে নিতে চাইছে না চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। ঈদুল আযহার পূর্বে সড়কের মধ্যে বাজার ও ঝুঁকিপূর্ন এলাকাগুলো সংস্কার না করলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে এসব অঞ্চলের মানুষের।

সড়ক ও জনপদ চাঁদপুর সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের ৫৮ কিলোমিটার জুড়ে উভয় পাশের ৩ ফিট প্রশস্তকরণ, মাটি ভরাট ও কয়েকটি ব্রিজ কালভার্টসহ উক্ত কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১শ ২৫ কোটি টাকা। সড়কটি বর্তমান ১৮ থেকে ২৪ ফিট প্রস্থে উন্নিত করার কাজ চলছে। আর তা বাস্তবায়ন হলে যানবাহন চলাচল সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে ২০১৭ সালের শেষ দিকে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের কাজ শুরু হলেও পথে পথে নানা বাধাঁর মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে দাবি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্সের। বিশেষ করে সড়কের দু’পাশে বড় বড় গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটিসহ নানা জটিলতাকে উপেক্ষা করে তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে দাবি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। তারপরেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন বলছেন আগামি ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে তাদের কাজ সম্পন্ন হবে।

তবে বছরের পর বছর গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে ঠিকাদাররা কাজ করতে গিয়ে প্রতিদিন যানবাহনের অপেক্ষমান চিত্র লক্ষনীয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে উক্ত সড়কের চাঁদপুর ওয়ারলেছ মোড় থেকে বাবুরহাট, হাজীগঞ্জ শহর থেকে বাকিলা বাজার পর্যন্ত দুই পাশের শত শত যানবাহন সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে পড়তে দেখা যায়। চাঁদপুর শহরের ওয়াপদা গেইট এলাকায় সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকায় সড়কটি সংস্কার না করায় দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থাকে যানবাহন। ৫মিনিটে অতিক্রম করা সড়ক ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। অপরদিকে চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের একই অবস্থা।

বৃহস্পতিবার সকালে শহরের ওয়ারলেস এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সড়কে পানি জমে আছে। সামান্য বৃষ্টি হলেও জলবাদ্ধতা মারাত্মক আকার ধারণ করে। জমে থাকা ময়লা পানি যাত্রীদের গায়ে এসে পড়ছে। এ কারণে ওয়ারলেস পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে চলাচলে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে চালকদের। এতে দূর্ভোগ বাড়ছে যাত্রীদের। কোথাও কোথাও সড়কের পাশে বৃদ্ধি করা স্থান ভেঙে পড়ছে পাশে। আবার কোন কোন স্থানে পুরো রাস্তা নতুন করে করতে গিয়ে পানি জমে কর্দমাক্ত হচ্ছে। আর এসব বিষয় আমলে নিচ্ছেন না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিংবা সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ। তাদের মতে অতিবৃষ্টি ও বর্ষার পানির চাপে তাদের কাজের গতিতে ব্যঘাত ঘটছে।

শহরের বাবুরহাট এলাকার বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন ও আরফি হোসেন জানান, কাজের ধীর গতির পাশাপাশি এসব কাজে সড়ক জনপথ বিভাগের লোকদের তদারকি কম দেখা যায়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাদের ইচ্ছেমত কাজ করছে। রাস্তার দুই পাশে সংস্কার কাজের জন্য কাটার কারণে প্রায় সময়ই দূর্ঘটনা পড়ছে পথচারী ও যানবাহন। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করার দাবী জানাচ্ছি।

চাঁদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকোশলী সুব্রত দত্ত এ বিষয়ে বলেন, চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের ৫৮ কিলো জুড়ে দুই পাশের ৩ ফুট করে রাস্তা বৃদ্ধিসহ ছোট বড় ব্রিজ কালভাটের কাজ আগামি ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। আর সড়ক উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে সড়কের যানবাহনসহ যাত্রীসাধারণের সাময়িক ব্যাঘাত ঘটতে পারে। কিন্তু আমাদের এখন আর কি করণীয় আছে। এখন বর্ষা মৌসুম। তারপরেও যেখানে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, তা সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads