• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
বাংলাদেশ-ভারতে যাতায়াতে হচ্ছে নতুন দুই রুট

ট্রেন লাইন

সংরক্ষিত ছবি

যোগাযোগ

বাংলাদেশ-ভারতে যাতায়াতে হচ্ছে নতুন দুই রুট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত ব্যবস্থা আরও উন্নত হচ্ছে। এ জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি রেলপথ। এর একটি হচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা অপরটি কুলাউড়া-শাহবাজপুর। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বিকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রেলপথ দুটির নির্মাণকাজের উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

এবিষয়ে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক আমাদের সময়কে বলেন, বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের অর্থসহায়তায় প্রকল্প দুটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর ফলে যাতায়াতব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহযোগিতায় রেলের উন্নয়ন হচ্ছে।

এ উপলক্ষে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এক সুধী সমাবেশ আয়োজনেরও কথা রয়েছে। সমাবেশে বাংলাদেশ সরকারের একাধিক মন্ত্রীও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করছেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ সহজ হবে। রেলপথের মাধ্যমে সেভেন সিস্টার্সের যাতায়াত সহজ করতে সরকারের এ উদ্যোগের সুফল ভোগ করবে দেশের জনগণ। রপ্তানি পণ্যের চাহিদাও বেড়ে যাবে অনেক বেশি।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানিয়েছেন, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পটি নির্মাণ হলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। এই রুট দিয়ে প্রথমদিকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করতে পারে।

২০১৬ সালের ৩১ জুলাই একই প্রকল্পের ভারতের আগরতলা অংশে কাজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, ভারতের রেলপথ মন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু। এরইমধ্যে ভারতের অংশে রেলপথ নির্মাণের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে।

বাংলাদেশের অংশে ৫৬.৩৬ একর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আখাউড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জেসমিন সুলতানা। জুন মাসে অধিগ্রহণ ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮০ কোটি রুপি। এর মধ্যে ভারতের পাঁচ কিলোমিটার অংশের জন্য ৫৮০ কোটি রুপি ও বাংলাদেশ অংশের ১০ কিলোমিটারের জন্য ৪০০ কোটি রুপি (৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা)। রেললাইন নির্মাণে ভারত থেকে অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে ৪২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অবশিষ্ট ৫৭ কোটি টাকা বাংলাদেশের সরকারি কোষাগার থেকে ভূমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় হচ্ছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ সহজ হবে। রেলপথের মাধ্যমে সেভেন সিস্টার্সের যাতায়াত সহজ করতে সরকারের এ উদ্যোগের সুফল ভোগ করবে দেশের জনগণ। রপ্তানি পণ্যের চাহিদাও বেড়ে যাবে অনেক বেশি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ভারতের ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একই কৃষ্টি ও সংস্কৃতির জনসাধারণের মধ্যে আন্তঃদেশীয় সহজ যোগাযোগব্যবস্থার দরকার অনুভূত হয়। ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরকালে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগে যৌথ ইশতেহার ঘোষিত হয়। এর পরই ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আখাউড়া ও আগরতলার মধ্যে ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। একনেক ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads