• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
মৈত্রী পাইপলাইন নির্মাণকাজ উদ্বোধন আজ

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন রেলপথ

সংরক্ষিত ছবি

যোগাযোগ

মৈত্রী পাইপলাইন নির্মাণকাজ উদ্বোধন আজ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি এবং বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের নির্মাণকাজ যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন আজ। তারা নিজ নিজ দেশের রাজধানী থেকে বিকাল ৫টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন। ঢাকায় কর্মকর্তারা জানান, এই পাইপলাইন বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

দুই প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পৃথক পৃথক প্রকল্পও উদ্বোধন করবেন। গতকাল সোমবার এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, ভারতীয় এলওসির অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প দুটির উদ্বোধন করা হবে। তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনের অধীন ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যে সেকশনাল ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিকরণ এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডবল লাইন নির্মিত হলে সমন্বিত ও গতিময় ট্রেন সার্ভিস প্রবর্তনের মাধ্যমে শহরতলি এবং অন্য জেলাসমূহের যাত্রীসাধারণের রাজধানী ঢাকায় স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও সময় সাশ্রয়ী যাতায়াত সম্ভব হবে। প্রকল্পটিতে ভারতীয় এলওসির বরাদ্দ ৯০২ কোটি ৬৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। বাংলাদেশ সরকার খরচ করবে ২০৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।

অপর এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বর্তমানে আমদানিকৃত তেল চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ হতে খালাস করে চট্টগ্রাম ডিপোতে সঞ্চয় করে রাখা হয়। পরে কোস্টাল ট্যাংকে করে খুলনার দৌলতপুর ডিপোতে আনা হয়। সেখানে আনলোড করে আবার রেলের ওয়াগনে আপলোড করে নিয়ে যাওয়া হয় পার্বতীপুরে। এই প্রক্রিয়ায় পরিবহনজনিত সমস্যা, অতিরিক্ত সময় এবং অর্থের অপচয় হয় উল্লেখ করে তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনলে এই তিনটিরই সাশ্রয় হবে। এ ছাড়া জ্বালানি নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে এ পাইপলাইন কার্যকর অবদান রাখবে।

পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি সংক্রান্ত ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি গত বছরের ২২ অক্টোবর স্বাক্ষরের পর চলতি বছরের ৯ এপ্রিল সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। এ পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রথম তিন বছর ২ দশমিক ৫ লাখ টন ডিজেল সরবরাহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে এ সরবরাহের পরিমাণ বেড়ে শেষ পাঁচ বছর ৪ লাখ টনে উন্নীত করা হবে। বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে প্রয়োজনে জ্বালানি তেলের আমদানি এই পাইপলাইনের মাধ্যমে আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। নুমালীগড় রিফাইনারি ওই পাইপলাইনের মাধ্যমে ১৫ বছরের জন্য ডিজেল সরবরাহ করবে। উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে এ সময় বর্ধিত করা হবে।

ভারতের শিলিগুড়ি হতে বাংলাদেশের পার্বতীপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইনে চলতি বছরের আগস্ট-ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার টন ডিজেল ভারত থেকে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে আমদানি করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাসস

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads