• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৫ ঘন্টা বন্ধের পর ফেরি চলাচল শুরু

ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বুধবার রাতে দুই দফায় দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এতে উভয় ঘাটে পাড়ের অপেক্ষায় আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। আটকে থাকা যানবাহনের দীর্ঘ সারির ছবিটি দৌলতদিয়া ট্রাক ট্রার্মিনাল এলাকা থেকে তোলা

প্রতিনিধির তোলা ছবি

যোগাযোগ

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৫ ঘন্টা বন্ধের পর ফেরি চলাচল শুরু

  • গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ নভেম্বর ২০১৮

হঠাৎ করে পরা মৌসুমের প্রথম ঘন কুয়াশায় দেশের ব্যাস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দুই দফায় দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুণরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এতে করে উভয় ঘাটে নদী পাড়ের অপেক্ষায় মহাসড়কে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে তীব্র কুয়াশায় নৌরুটের মার্কিং (বিকন বাতি) অস্পষ্ট হয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরিসহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। আড়াই ঘন্টা বন্ধ থাকার পর রাত ২টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব কমে এলে ফের ফেরি চলাচল শুরু হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ভোর বুধবার ভোর ৬টা থেকে নদী এলাকায় তীব্র কুয়াশায় আবারো ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। টানা ৩ ঘণ্টা ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার পর কুয়াশার ঘনত্ব কিছুটা কমে এলে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ধীরে ধীরে পুনরায় ফেরিসহ নৌযান চলাচল শুরু হয়। কুয়াশাকালীন সময়ে দিক হারিয়ে মাঝ নদীতে নোঙ্গর করে থাকতে বাধ্য হয় ৫টি ফেরি। আটকে থাকা ফেরিগুলোতে শতাধিক বিভিন্ন যানবাহন ও সহস্্রাধিক যাত্রী দীর্ঘ সময় আটকে পড়ে। তারা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন।

সরেজমিন আলাপকালে সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়ার উভয় ঘাটে শতশত যানবাহন নদী পাড় হতে না পেরে সিরিয়ালে আটকে পড়ে। নৈশ কোচের দুর পাল্লার যাত্রীদের মধ্যে মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। দৌলতদিয়া প্রান্তে বেলা ১১টা নাগাদ আটকে পড়া যানবাহনের সারি ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের প্রায় ৭ কিলোমিটার দুরে গোয়ালন্দ রেলগেইট পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। রাতে দীর্ঘ সময় মহাসড়কে অসংখ্য যাত্রী আটকে থাকলেও পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তার কারণে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে ফেরি বন্ধের পাশাপাশি নৌরুটে দেখা দিয়েছে ফেরি সংকট। বুধবার দুপুর নাগাদ রুটে ৭টি রোরো, ৬টি ইউটিলিটি ও ২টি কেটাইপ ফেরি চলছিল। যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। বহরের রোরো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন ও ইউটিলিটি ফেরি মাধবীলতা ২ দিন ধরে বিকল হয়ে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতে রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া অফিসের সহকারী ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, হঠাৎ করে ঘন কুয়াশায় প্রায় ৫ ঘন্টা ফেরি বন্ধ থাকায় এবং বহরের ২টি ফেরি বিকল থাকাতে উভয় ঘাটে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়েছে। আমরা মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমাতে যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে পার করার চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads