• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বাঁশের সাঁকোই ভরসা!

সাঁকো দিয়েই চলাফেরা করছে ১০টি গ্রামের মানুষ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

বাঁশের সাঁকোই ভরসা!

  • আব্দুল্লাহ হেল বাকী, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ নভেম্বর ২০১৮

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার রাঙ্গামাটি ঘাটে একটি ব্রিজের অভাবে ১০টি গ্রামের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পার হলেও এ দুর্ভোগের ঘানি টানছে কয়েক হাজার মানুষ। রাঙ্গামাটি ব্রিজ না থাকায় উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষের ধামইরহাট উপজেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিন থেকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আর এই ইউনিয়নের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজসহ কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী বন্যার সময় ঝুঁকিপূর্ণ আবস্থায় যাতায়াত করে থাকে। নদীতে পানি কম থাকলে পায়ে হেঁটে স্কুলে যাতায়াত করলেও বর্ষাকালে তাদের স্কুলে যাতায়াত বন্ধ হয়ে য়ায়।

সরেজমিনে জানা গেছে, রাঙ্গামাটি উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হচ্ছে। একইভাবে হেঁটে নদী পার হয়ে যাতায়াত করছে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ। রঘুনাথপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বিজ্রটি নির্মাণ না হওয়ায় এই এলাকার লোকজন ধামইরহাট উপজেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেনা। এ জন্য তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য শহরে বাজারজাত করতেও অসবিধার সৃষ্টি হয়’। একই কথা বলেন রাঙ্গামাটি গ্রামের আব্দুর রহিম, মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন প্রমূখ।

রাঙ্গামাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উজ্জল হোসন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে আসে। শুস্ক মৌসুমে নদীতে পানি কম থাকায় তারা পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে আসতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে কষ্ট হয় তাদের’। এলাকাবাসী জানায়, ‘খেলনা ইউনিয়নের লোকজনের উৎপাদিত পণ্য উপজেলা সদরে নিয়ে যাওয়া এবং উপজেলা সদর থেকে কোন পণ্য নিয়ে আসা সহজ হত রাঙ্গামাটি ঘাটে ব্রিজটি নির্মাণ হলে। জাতীয় সংসদের হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার এমপি এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন। ব্রিজটি নির্মান হলে উপজেলার ২০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ কমবে’। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads