• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
দুমকিতে ব্রিজের বেহাল দশায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে

পুটুয়াখালীর পায়রা নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে ফোর লেনের অত্যাধুনিক লেবুখালী সেতু। ছবিতে মাঝ নদীতে দ্রুতার সাথে চলছে গার্ডার পাইলিংয়ের কাজ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

দুমকিতে ব্রিজের বেহাল দশায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে

  • দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮

পটুয়াখালীর দুমকিতে এলজিইডির অর্ধশতাধিক আয়রণ ব্রিজের বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় জনচলাচলের গ্রামীন কাঁচারাস্তা ও ইউনিয়ন কানেক্টিং সড়কের খাল ও নালার ওপর নির্মিত আয়রণ ব্রিজগুলো সংস্কারাভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এসব আয়রণ ব্রিজের অধিকাংশই বিভিন্ন স্থানের স্লীপার ভেঙ্গে পারাপারের অযোগ্য হয়ে আছে। কয়েকটি ব্রিজের আংশিক ও সম্পূর্ণ স্লীপার ভেঙ্গে পড়ায় শুধুমাত্র ব্রিজের আয়রণ কাঠামো দাড়িয়ে রয়েছে। এলাকাবাসীদের চলাচলের জন্য বিকল্প পথে বাঁধ দিয়ে ওইসব পথে যাতায়ত করতে হচ্ছে।

সরেজমিন পরিদর্শণে দেখাযায়, উপজেলার জনতা কলেজ থেকে দক্ষিণে কার্ত্তিকপাশা মুন্সীরবাজার সড়কে শরীফবাড়ী সংলগ্ন আয়রণ ব্রিজের উভয় দিকের অন্তত: দুইতৃতীয়াংশ স্লীপার ভেঙ্গে জনচলাচল মারাত্মক ভাবে বিঘিœত হচ্ছে। এ সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে নিত্য চলাচলকারী বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শত শত ছাত্র-ছাত্রীসহ ১০গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। এলাকাবাসী ব্রিজটি দ্রুত সংস্কারের দাবি করে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে নির্বিকার। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান মৃধা বলেন ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগে বহুবার আবেদন নিবেদন করলেও কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ নেয়নি। লেবুখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহআলম আকন বলেন, উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রকল্প দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত ব্রিজটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রমতে, সরকারী হিসেবে উপজেলা শ্রীরাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৪টি, লেবুখালী ইউনিয়নে ১৫টি, আংগারিয়া ইউনিয়নে ৮টি, মুরাদিয়া ইউনিয়নে ১০টি ও পাংগাশিয়া ইউনিয়নে ৫টি মোট ৪২টি সংস্কারবিহীন আয়রণ ব্রিজ আছে। কিন্তু বাস্তবে ৫ইউনিয়নে আয়রণ ব্রিজের সংখ্যা অর্ধশতাধিক।

এসব আয়রণ ব্রিজগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার বিহীন পড়ে থাকায় একদিকে জনচলাচলে চরম ভোগান্তি বাড়ছে অপর দিকে লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের সরকারী সম্পদ ধীরে ধীরে নষ্ট/অপচয় হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর নিত্য চলাচলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এসব আয়রণ ব্রিজগুলো অগ্রাধিকার বিবেচনায় দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী দিপুল কুমার বিশ্বাস বলেন, আয়রণ ব্রিজগুলো সংস্কারের প্রকল্প প্রস্তাব প্রধান প্রকৌশল অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেয়ে দ্রুততার সাথে সংস্কার কাজ আরম্ভ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads