• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে তৎপর পুলিশ

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছে পুলিশ

সংরক্ষিত ছবি

যোগাযোগ

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে তৎপর পুলিশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ জানুয়ারি ২০১৯

রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর সড়কে এ অভিযান চলে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গাড়ির বৈধ কাগজপত্র ও ভাড়ার তালিকা না থাকার পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল ও হেলমেটবিহীন চালক-আরোহীর বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ট্রাফিক আইন মেনে চলতে চালক-যাত্রী ও পথচারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে গত মঙ্গলবার অভিযানের প্রথম দিনে ৬ হাজার ৯০৯টি মামলা ও ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানসহ নানা তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। তবে পুলিশি তৎপরতা উপেক্ষা করেও সাধারণ মানুষকে ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার না করে ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়ক দিয়ে রাস্তা পার হতে দেখা গেছে। হেলমেট ছাড়াই অনেক মোটরসাইকেল আরোহী চলাচল করেছে। গণপরিবহনের চালকরা যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করেছে। বিশেষ অভিযানের কারণে কিছু এলাকায় গণপরিহনের সঙ্কট দেখা যায়। অপরিকল্পিত স্টপেজের কারণে অনেক এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।

সরেজমিন রাজধানীর মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মোড়, ফকিরাপুর, কাকরাইল, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, মগবাজার, জাহাঙ্গীরগেট, বনানী, কুড়ির বিশ্বরোড, পান্থপথ, শাহবাগ, বাংলামোটর এবং ফার্মগেট ঘুরে দেখা যায়, পথচারীদের জেব্রা ক্রসিং মেনে রাস্তা পারাপার, ফুটপাথ এবং ওভারব্রিজ ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। পুলিশের এই কাজে সহায়তা করছে রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। তার পরও সুযোগ পেলেই অনেক পথচারী গাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। ফার্মগেটে গিয়ে দেখা যায়, পাশপাশি দুটি ওভারব্রিজ আছে। কিন্তু মানুষ ওভারব্রিজের পাশ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। যাত্রী ও চালকের মাঝে ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন গাড়িতে স্টিকার লাগতে দেখা গেছে অনেক পুলিশ সদস্যকে।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, রাজধানীতে ট্রাফিক আইন মানার বিষয়টা অনেকাংশে বেড়েছে। সাধারণ মানুষ এখন অনেক সচেতন। আর মামলায় সব কিছু সমাধান হবে না। মামলা করা থেকেও আমরা শৃঙ্খলার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যারা আইন মানছেন না তাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। তিনি জানান, বুধবার বেশি মামলা হয়েছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল ও রাস্তায় হেলমেট ব্যবহার না করার কারণে। তাছাড়া যেসব চালক উল্টোপথে গাড়ি চালিয়েছে এবং গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ডিসি জানান, বিশেষ অভিযানে গণপরিবহনের কাগজপত্র ঠিক রাখা এবং দরজা বন্ধ করে বাস চালানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র বাস থামানোর জন্য মামলা হচ্ছে। নির্দেশনা রয়েছে, রাজধানীর নির্ধারিত ১৩০টি বাস স্টপেজে ছাড়া যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না। এ বিষয়ে সচেতন করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার থেকে জানানো হয়, ট্রাফিক পক্ষের প্রথম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৬ হাজার ৯০৯টি মামলা ও ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ট্রাফিক বিভাগ। অভিযানকালে ৩৮টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৮৮৯টি গাড়ি রেকার করা হয়। তাছাড়া উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ১ হাজার ২৯০টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করার কারণে ২১৮টি, হুটার ও বিকন লাইট ব্যবহার করার জন্য ১১টি গাড়ির বিরুদ্ধে এবং মাইক্রোবাসে কালো গ্লাস ব্যবহারের কারণে ২৩টি মামলা করা হয়েছে। ট্রাফিক সূত্র জানায়, আইন অমান্য করার কারণে ২ হাজার ৭৬৮টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা ও ১৩৯টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অপরাধে চালকের বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads