• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
পদ্মা সেতুর ১ হাজার ৩৫০ মিটার দৃশ্যমান

পদ্মা সেতুর ১ হাজার ৩৫০ মিটার দৃশ্যমান

ছবি : সংগৃহীত

যোগাযোগ

পদ্মা সেতুর ১ হাজার ৩৫০ মিটার দৃশ্যমান

  • শরিয়তপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ মার্চ ২০১৯

স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে টানা সাতটি স্প্যান বসানোর ফলে জাজিরা প্রান্তে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এই প্রান্তে অষ্টম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর টানা ১ হাজার ২০০ মিটার দৃশ্যমান হলো। এর আগে মাওয়া প্রান্তে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। ফলে নতুন স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুতে মোট স্প্যান বসেছে নয়টি। আর পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান হয়েছে ১ হাজার ৩৫০ মিটার। সেই হিসেবে সেতুর প্রায় ২২ শতাংশ দৃশ্যমান হলো।

সেতু বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ূন কবীর জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মা সেতুর ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিয়ারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। এ মাসের মধ্যে আরো স্প্যান বসানো হবে বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে সেতুর প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে সবকটি স্প্যান বসিয়ে সেতু দৃশ্যমান করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর অষ্টম স্প্যানটি বসানোর কথা ছিল। কারিগরি ত্রুটির কারণে এটি বসানো সম্ভব হয়নি। ফলে গতকাল এই স্প্যানটি বসানো হয়। সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা জানান, বুধবার সকালে মাওয়ার মুন্সীগঞ্জের কুমারভোগ থেকে স্প্যানটি নিয়ে একটি শক্তিশালী ক্রেন জাজিরার উদ্দেশে রওনা দিয়ে বিকালে পৌঁছায়। গত বৃহস্পতিবার স্প্যানটি বসানোর জন্য শ্রমিকরা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কাজ করলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে শেষ পর্যন্ত স্প্যানটি পিয়ারের ওপর তোলা সম্ভব হয়নি।

এর আগে গত মাসের ১৯ তারিখে জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৫ ও ৩৬ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয়েছিল সপ্তম স্প্যান। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আটটি স্প্যান বসানো হয়। এর মধ্যে জাজিরা প্রান্তে সাতটি ও মাওয়া প্রান্তে একটি স্প্যান বসানো হয়। আর গতকাল বসানো হলো নবম স্প্যান।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয় দ্বিতীয় স্প্যান। গত বছরের ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির ওপর বসে তৃতীয় স্প্যান। ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর খুঁটির ওপর চতুর্থ স্প্যান বসানো হয়। ২৯ জুন সেতুর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়েছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায়। এ বছরের জানুয়ারি মাসে জাজিরা প্রান্তের তীরের দিকের ষষ্ঠ শেষ স্প্যান বসে। গত মাসে জাজিরা প্রান্তে ৩৫ ও ৩৬ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয়েছিল সপ্তম স্প্যান। আর গত বছরের শেষ দিকে মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর একমাত্র স্প্যানটি বসানো হয়। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads