• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
চলতি মাসেই ট্রেনের টিকিট বিক্রির অ্যাপস চালু: রেলমন্ত্রী

ছবি : সংগৃহীত

যোগাযোগ

চলতি মাসেই ট্রেনের টিকিট বিক্রির অ্যাপস চালু: রেলমন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৫ এপ্রিল ২০১৯

কমলাপুর স্টেশনে টিকিট কিনতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে চলতি মাসে অ্যাপস চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মাধ্যমে ঘরে বসেই যাত্রীরা টিকিট কিনতে পারবেন। এমনটাই জানালেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

আজ শুক্রবার সকালে কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি, ট্রেনের সব টিকিট মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। কাউন্টার থেকে কোনো টিকিট বিক্রি করা হবে না। এর ফলে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য কাউকে আর কাউন্টারে যেতে হবে না।

তিনি আরো বলেন, কমলাপুর স্টেশনে বিনা টিকিটে প্রবেশসহ নানা অভিযোগ আছে। আমরা খুব শিগগির ছোট ছোট সব প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেবো। একই সঙ্গে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণে জরিমানা অব্যাহত থাকবে।

নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, সরকার চায় রেলওয়েকে আরও ঢেলে সাজাতে এবং জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যেতে। লোকবলের অভাবের অভিযোগ ছিলো, সেটাও এখন দূর হওয়ার পথে। আশা করি, সত্যিকারের সেবায় পরিণত হবে রেল।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৭২টি ট্রেন চুক্তিভিত্তিক বেসরকারিভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেই নতুন করে আর কোনো চুক্তি করা হবে না। রেলওয়ে থেকেই আমরা ওই ট্রেনগুলো পরিচালনা করবো।

মন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখে আমরা ঢাকা-রাজশাহীর মধ্যে একটি বিরতিহীন ট্রেন চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি, আমরা সেসময় ট্রেন চালু করতে পারবো। ইন্দোনেশিয়া থেকে কোচ আনা হয়েছে, সেগুলো সংযোজন করা হবে ট্রেনটিতে। এ ট্রেনটি বিরতিহীন হওয়ায় অন্য কোনো স্টেশনে দাঁড়াবে না। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রাজশাহী থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়া-আসা করতে পারবেন যাত্রীরা।

তিনি আরো বলেন, আগামী এক বছরে ট্রেনে সাড়ে ৫০০ বগি, ১০০টি ইঞ্জিন এবং ২৫০টি কোচ আসবে। তাছাড়া মিটারগেজ লাইন ধীরে ধীরে বন্ধ করা হবে। সবগুলো লাইন হবে ব্রডগেজ। ঈদযাত্রাকে আরও সহজতর করতে ট্রেনের আগাম টিকিট স্টেশনের বাহিরেও বিক্রির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। টিএসসি, সায়েদাবাদ বা রেল ভবনসহ কয়েকটি স্থানে টিকিট বিক্রি হতে পারে।

এসময় মন্ত্রী টিকিট কাউন্টার, যাত্রীদের বিশ্রামাগার কক্ষ ও প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখেন এবং স্টেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কমলাপুর রেলস্টেশনের পরিচ্ছন্নতাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। কথা বলেন যাত্রীদের সঙ্গে, তিনি তাদের অভিযোগও শোনেন।

মন্ত্রীর সাথে রেলওয়ে মহাপরিচালক, রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং কমলাপুর স্টেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads